সোনারপুর, 27 জানুয়ারি: সারাজীবনের কাজের স্বীকৃতি পাচ্ছেন রাজপুর-সোনারপুর পৌরসভার 9 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রীতিকণা গোস্বামী ৷ ভারত সরকারের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ‘পদ্মশ্রী’ পাচ্ছেন তিনি (Pritikona Goswami from Bengal Receives Padma Shri) ৷ তাঁর নকশিকাঁথা শিল্পের জন্য প্রীতিকণা গোস্বামীকে এই সম্মান দিচ্ছে কেন্দ্র ৷ ইতিমধ্যেই, তিনি 2001 সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামের হাত থেকে হস্তকারিগরী ক্ষেত্রে জাতীয় পুুরস্কার পেয়েছেন ‘নকশিকাঁথা’র কাজের জন্য ৷ এবার ভারত সরকার তাঁকে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মান দিচ্ছে ৷
মাত্র 10 বছর বয়সে বাবাকে হারান প্রীতিকণা গোস্বামী ৷ 5 বোনকে নিয়ে কোনও মতে সংসার টানতেন মা ৷ সেই সময় প্রীতিকণা গোস্বামীকে তাঁর জেঠু নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন ৷ মাধ্যমিক দেওয়ার পর বাড়িতে ফিরে এসেছিলেন তিনি ৷ তার আগে থেকেই সেলাইয়ের কাজ শিখতেন ৷ মূলত বান্ধবী রমা দাসের থেকে সেলাইয়ের কাজের উৎসাহ পান ৷ সেই সূত্রেই পীতাম্বরি নামে এক সংস্থার হয়ে সেলাইয়ের কাজ করতেন ৷
1977 সালে পড়াশোনা চলাকালীন বিয়ে করেন ৷ সিটি কলেজে ভরতিও হয়েছিলেন ৷ তবে, সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি ৷ তবে, নকশিকাঁথার সেলাইয়ের কাজ থামাননি ৷ 1990 সালে পশ্চিমবঙ্গ ক্রাফ্ট কাউন্সিল থেকে নকশিকাঁথার সেলাইয়ের বরাত পান ৷ তাঁর সেলাইয়ের কাজে খুশি হয়ে পশ্চিমবঙ্গ ক্রাফ্ট কাউন্সিল একটি বিভাগ খোলেন ৷ যার নাম দেওয়া হয় ‘কমলাদেবী কাঁথা সেন্টার’ ৷ সেখানে তাঁকে সেলাই শেখানোর দায়িত্ব দেওয়া হয় ৷ তিনি আজও সেই সেন্টারের দায়িত্বে রয়েছেন ৷