অভিষেকের সভায় অনুপস্থিত, ডাক পাননি জয়নগরের সাংসদ ?

সাংসদ বলছেন, তাঁকে নাকি ডাকাই হয়নি । আর তাঁর বিরোধী গোষ্ঠী বলে পরিচিত, ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লা বলছেন, সাংসদকে নাকি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, তবে তিনি অসুস্থতার জন্য আসতে পারেননি ।

কুলতলি, 24 জানুয়ারি : আজ কুলতলিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় অনুপস্থিত ছিলেন জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল । তাঁর দাবি, এই অনুষ্ঠানে আসার জন্য তাঁকে নাকি আমন্ত্রণই জানানো হয়নি । এমনকী তাঁর অভিযোগ, 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচন থেকেই দলীয় অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয় না ।

প্রতিমা মণ্ডল বলেন, "আমি যখন সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে গিয়েছিলাম, তখন 22 তারিখ আমার নিরাপত্তারক্ষীর হাতে একটি কার্ড ধরিয়ে দিয়ে গিয়েছিল ।" সাংসদের কথায়, এই ধরনের কার্ড অনেকটা দোকানের হালখাতার কার্ডে মতো । তাই এটিকে কোনওরকম আমন্ত্রণপত্র হিসেবে মানতে নারাজ তিনি ।

পাশাপাশি, ক্ষুব্ধ সাংসদ আরও বলেন, যে আমন্ত্রণপত্রটি তৈরি করা হয়েছে, তাতে অতিথিদের তালিকায় লেখা রয়েছে বিধায়কগণ । সাংসদকে অতিথি হিসেবে রাখা হয়নি বলেও ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনি ।

তবে সাংসদের বক্তব্য মানতে নারাজ দক্ষিণ 24 পরগনার তৃণমূল যুব নেতৃত্ব । জেলার তৃণমূল যুব সভাপতি তথা ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লা জানান, "সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে । অসুস্থতার জন্য আসতে পারেননি তিনি । " আজকের সভায় প্রতিমা মণ্ডলকে দেখা না গেলেও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী । ঘটনায় আরও একবার প্রকাশ্যে জেলাস্তরের নেতৃত্বের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বের ছবি ।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করছেন জেলায় তৃণমূলের ছবটি ভিতর থেকে খোকলা হয়ে গিয়েছে । এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে আখেড়ে বিজেপিই লাভবান হতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে ।