মহেশতলা, 18 এপ্রিল : মহেশতলার আকড়ায় দুই সন্তান-সহ মহিলার মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য এল পুলিশের হাতে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত সোমা মণ্ডলের লিভ-ইন পার্টনার প্রভাস মণ্ডল এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ৷ টাকাপয়সা নিয়ে প্রায়ই সোমার উপর চাপ দিতেন প্রভাস ৷ সে নিয়ে অশান্তির জেরেই দুই সন্তান-সহ সোমা মণ্ডলকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার ভাই (Police Detained One Person in Maheshtala Burn Death Case) ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বধূ নির্যাতন ও খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে ৷ রবিবার রাতেই অভিযুক্ত প্রভাস মণ্ডলকে আটক করেছে মহেশতলা থানার পুলিশ ৷
আকড়ার কৃষ্ণনগর পূর্ব মণ্ডল পাড়ার একটি বাড়িতে শনিবার মাঝরাতে আগুন লাগে ৷ পুড়ে মৃত্যু হয় বাড়ির দুই শিশু এবং এক মহিলার ৷ দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর পর ভিতর থেকে বছর সাতচল্লিশের সোমা মণ্ডল এবং তাঁর বড় ছেলে সাহেব ও ছোট ছেলে রাহুলের দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয় ৷ তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, প্রথমে যাকে সোমার স্বামী বলে ভাবা হয়েছিল ৷ সেই প্রভাস মণ্ডল আসলে তাঁর প্রেমিক ৷ আর তিনি সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না ৷ তিনি নিজের সবজির দোকানে রাত কাটিয়েছিলেন ৷ পুলিশ জানতে পারে প্রতি রাতেই তিনি সবজির দোকানে থাকতেন ৷
2015 সালে সোমার স্বামী টোটন মণ্ডলের মৃত্যুর পর থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে মহেশতলার আকড়ার এই বাড়িতে প্রভাসের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন সোমা ৷ প্রভাস আদতে চেতলার বাসিন্দা ৷ একসময় বাসচালক ছিলেন ৷ লকডাউনের সময় কাজ হারান তিনি ৷ তারপর থেকে সবজির ব্যবসা শুরু করেন ৷ সবজির দোকানেই রাতে থাকতেন প্রভাস ৷ শনিবার রাতেও বাড়িতে ছিলেন না তিনি ৷ সেই রাতেই বাড়িতে আগুন লেগে মৃত্যু হয় তিনজনের ৷ এর পর মৃত সোমা মণ্ডলের ভাই গৌতম দাস পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, প্রভাস তাঁর বোনের উপর অত্যাচার করত টাকা চেয়ে ৷ সেই কারণেই প্রভাস সোমাকে আগুনে পুড়িয়ে খুন করেছে বলে অভিযোগ করেন গৌতম ৷