ঢোলাহাট (দক্ষিণ 24 পরগনা), 24 এপ্রিল: দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে ‘সুখের সংসারে’ বাধা হয়ে উঠছিলেন প্রথম পক্ষ ৷ সেই কারণেই ‘পথের কাঁটা’ চিরতরে সাফ করার পরিকল্পনা করেন নাসিরউদ্দিন শাহ ৷ নিজেকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে রাখতে ছক কষেছিলেন ‘নিখুঁত’ ভাবে ৷ সেই ছক মোতাবেক আতিয়ার শেখ নামে এক যুবক নাসিরুদ্দিনের প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন ৷ তার পর সুযোগ বুঝে খুন করেন সাহেবা বিবি নামে ওই মহিলাকে ৷
নাহ ! এটা কোনও থ্রিলার সিনেমার প্লট নয় ৷ বরং পুলিশের দাবি, বাস্তবে এমনটাই ঘটেছে ৷ এই ঘটনায় সুপারি কিলার হিসেবে অভিযুক্ত আতিয়ার শেখ ও সাহেবার স্বামী নাসিরুদ্দিন, দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে দক্ষিণ 24 পরগনার ঢোলাহাট থানার পুলিশ ৷ তবে পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার তদন্তে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে বছর পাঁচেকের সেলিম ৷ সে নাসিরুদ্দিন ও সাহেবার ছেলে ৷ তার সামনেই আতিয়ার তার মাকে খুন করেন বলে অভিযোগ ৷ সেই ঘটনা সে প্রথমে পুলিশকে জানায় ৷ যে কারণে আতিয়ারকে গ্রেফতার করতে পুলিশের বেশি সময় লাগেনি ৷ আর আতিয়ারকে জেরা করেই নাসিরুদ্দিনকে ধরে পুলিশ ৷
পুলিশ জানিয়েছে, 10 বছর আগে দক্ষিণ 24 পরগনার সাগরের খানসামাবাদের বাসিন্দা সাহেবা বিবির সঙ্গে নামখানা ব্লকের বালিয়াড়া গ্রামের নাসিরউদ্দিন শাহের বিয়ে হয় । পরে তাঁরা নামখানার পাতিবুনিয়াতে থাকতে শুরু করেন । দম্পতির এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে । নাসিরউদ্দিন কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে চলে যান । পরে দ্বিতীয় বিয়ে করেন নাসিরউদ্দিন । এরপর থেকেই প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ শুরু হয় তাঁর ৷
পুলিশের দাবি, সেই বিবাদে ইতি টানতেই তিনি সাহেবাকে খুনের ছক কষেন ৷ যোগাযোগ করেন নিকট আত্মীয় আতিয়ার শেখের সঙ্গে । আতিয়ারকে সাহেবার খুনের সুপারি দেন নাসিরুদ্দিন । কীভাবে কাজ করতে হবে, সেটাই বুঝিয়ে দেন ৷ সেই ছক মেনে প্রথমে আতিয়ার ধীরে ধীরে সাহেবা বিবির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেন । তারপর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করেন । কয়েকবার সাহেবাকে নিয়ে হোটেলেও গিয়েছিলেন আতিয়ার ।