সোনারপুর (দক্ষিণ 24 পরগনা), 10 অগস্ট : সোমবার বিকেলে একটি ডাকাত দলকে গ্রেফতার করল সোনারপুর থানার পুলিশ ৷ হরিনাভি এলাকার চক্রবর্তী পাড়ায় একটি ফাঁদ পেতে অভিযুক্ত 6 দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ ধৃতদের কাছ থেকে নগদ অর্থ এবং লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷ অভিযোগ, গত দশদিনে সোনারপুর, নরেন্দ্রপুর এবং বারুইপুর এলাকায় প্রায় ছ’টি বাড়িতে এরা ডাকাতি করেছে বলে অভিযোগ ৷
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গত দিন দশেক ধরে সোনারপুর, নরেন্দ্রপুর ও বারুইপুর এলাকায় একাধিক ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছিল ৷ পুলিশে দায়ের হওয়া অভিযোগগুলিতে দেখা যায় ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ধরন সবক্ষেত্রে হুবহু এক ৷ দু’জন বাইকে করে এসে ঠিকানা জানার নাম করে বাড়ির ভিতরে ঢুকত ৷ আর সময় বাছা হত যখন চারদিক পুরোপুরি শান্ত থাকত তখন ৷ যে বাড়িতে মহিলারা একা থাকতেন সেই সব বাড়িগুলিকেই এরা টার্গেট করত ৷ বাড়ির মহিলাদের থেকে ঠিকানা জানার নাম করে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে ভয় দেখিয়ে ভিতরে ঢুকত অভিযুক্তরা ৷ এর পর বাড়ির ভিতরে ঢুকে চলত লুঠপাট ৷
অনেক সময় ফাঁকা রাস্তাতেও মহিলাদের একা পেয়ে ছিনতাই করে চম্পট দিত এই দুষ্কৃতীরা ৷ অভিযোগ পেয়ে সোনারপুর থানার পুলিশ সোমবার বিকেলে হরিনাভি এলাকার চক্রবর্তী পাড়ায় ফাঁদ পাতে ৷ সেখানেই 6 দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ সূত্রের খবর, ধৃতদের মধ্যে 3 জন ছিনতাই ও ডাকাতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিল ৷ আর বাকি 3 জন লুঠ করা সামগ্রী বিক্রি করত ৷ ধৃতদের কাছ থেকে 10 ভরি সোনার গয়না, 90 হাজার টাকা নগদ উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷ সেই সঙ্গে ডাকাতির কাজে ব্যবহার করা একটি ছুরি, রড ও একটি বাইক বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারীরা ৷ বাজেয়াপ্ত হওয়া বাইকটি ডাকাতি ও ছিনতাই করতে ব্যবহার করত অভিযুক্তরা ৷ বাইকের নম্বর প্লেট বেঁকানো ছিল বলে জানা গিয়েছে ৷ ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের সময় যাতে বাইকের নম্বর প্লেট থেকে অভিযুক্তদের শনাক্ত না করা যায়, তাই এমনটা করা হয়েছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছে ধৃতরা ৷
আরও পড়ুন : গড়িয়া বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার 6 দুষ্কৃতী, উদ্ধার লক্ষাধিক টাকার জিনিসপত্র
পুলিশি জেরায় ধৃতরা তাদের দোষ স্বীকার করেছে ৷ পাশাপাশি এও জানা গিয়েছে ডাকাতির সময় মূলত দু’জন করেই যেত ৷ বাকিরা আশেপাশেই নজরদারি চালাত ৷ ধৃতদের পরিচয় জানা গিয়েছে ৷ তাদের নাম অমিত মণ্ডল, বয়স 27 বছর ৷ সন্তু দাস ওরফে বুবন, বয়স 28 বছর ৷ সুব্রত ঘোষ ওরফে বিশ্বজিৎ, বয়স 17 বছর ৷ লিটন সরকার বয়স 41 বছর ৷ অমিত সর্দার বয়স 35 বছর এবং সম্রাট নস্কর বয়স 20 বছর ৷ ধৃতেরা কীভাবে ডাকাতির পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ীত করত, তা জানতে পুলিশ টিআই প্যারেড করার অনুমতি চাইবে আদালতের কাছে ৷