বিষ্ণুপুর,24 মে:বারবার পঞ্চায়েতে চেয়েও মেলেনি সরকারি ঘর। তাই অভাবের সংসার হওয়ায় মাটির ঘরে বসবাস করতেন পেশায় রাজ মিস্ত্রি সামাদ মণ্ডল(45)। আমফানের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই মাটির ঘর। থাকার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় ওই ক্ষতিগ্রস্ত ঘরেই আমফানের পরেও পরিবার নিয়ে বসবাস করছিলেন সামাদ। কিন্তু শেষমেষ গতরাতে ওই মাটির ঘর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় সামাদ সহ মোট সাত জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সামাদ মণ্ডলকে মৃত বলে ঘোষণা করে ডাক্তার। অপরদিকে আহত অবস্থায় ছয়জনের চিকিৎসা চলছে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে।
মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত ব্যক্তি, আহত 6
অভাবের সংসার হওয়ায় মাটির ঘরে বসবাস করত পেশায় রাজ মিস্ত্রি সামাদ মণ্ডল(45)। আমফানের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই মাটির ঘর। থাকার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় ওই ক্ষতিগ্রস্ত ঘরেই আমফানের পরেও পরিবার নিয়ে বসবাস করছিল সামাদ। কিন্তু শেষমেষ গতরাতে ওই মাটির ঘর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় সামাদ সহ মোট সাত জন আহত হযন। আহতদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সামাদ মণ্ডল কে মৃত বলে ঘোষণা করেন ডাক্তার।
ঘটনাটি বিষ্ণুপুর থানার কাজির হাট এলাকাযর। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বারবার একটি পাকা বাড়ির জন্য আবেদন করেও পায়নি। তাই পরিবার নিয়ে মাটির বাড়িতেই বসবাস করছিলেন তিনি । স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই গ্রামে একমাত্র সামাদের মাটির ঘর ছিল। তাই গ্রামের বহু মানুষ পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে প্রশাসনের কাছে দরবার করেছিল সামাদের পাকা বাড়ির জন্য। কিন্তু কারও কথায় পাত্তা দেননি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা।
গত রাতে যখন পরিবার নিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন, তখনই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মাটির বাড়ি। ঘর ভেঙে পড়ার আওয়াজ শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা এসে তাঁদের উদ্ধার করে পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সামাদ মণ্ডলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ডাক্তার। ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।