বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুন হতে হল শাশুড়িকে উস্থি (দক্ষিণ 24 পরগনা), 22 জানুয়ারি:পুত্রবধূরঅবৈধ সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। প্রাণ দিয়ে মূল্য চোকাতে হল শাশুড়িকে (Old Woman Murder)। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার দক্ষিণ 24 পরগনার উস্থি থানার অন্তর্গত ভোলেরহাট মোড় এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত বৃদ্ধার নাম সরস্বতী রায় (65) ৷ বাড়িতে ছোট ছেলে দীপক রায়ের সঙ্গে থাকতেন তিনি ৷
সম্প্রতি ছোট ছেলে দীপক রায়ের স্ত্রী সুপর্ণা রায় এলাকারই যুবক খোকন ফকিরের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। এমনকী ওই যুবকের সঙ্গে অপ্রীতিকর অবস্থায় গৃহবধূকে দেখেও ফেলেন শাশুড়ি সরস্বতী রায়। এরপর থেকেই ওই গৃহবধূ মগরাহাটে নিজের বাপের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। ঘটনার পর থেকে বেশ কয়েকবার সরস্বতী রায়কে ফোন করার চেষ্টা করেন পুত্রবধূর প্রেমিক খোকন ফকির।
বিপত্তি ঘটে শুক্রবার! ছোট ছেলে দীপক রায় কাজ থেকে বাড়ি ফিরে মা'কে দেখতে না-পাওয়ায় চারিদিকে খোঁজ-খবর নেওয়া শুরু করেন। পরে বাড়ির পিছনে শৌচালয়ের চেম্বার ভাঙা দেখতে পাওয়ায় সন্দেহ হয় তাঁর। চেম্বারের ভিতরেই মা'য়ের মৃতদেহ দেখতে পান দীপক ৷ খবর যায় উস্থি থানায় ৷ ঘটনার খবর পেয়ে উস্থি থানার পুলিশ শৌচালয়ের চেম্বার থেকে সরস্বতী রায়ের দেহ উদ্ধার করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবার পুলিশ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ, স্ত্রীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, পুত্রবধূর সঙ্গে এলাকার যুবক খোকন ফকিরের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন শাশুড়ি সরস্বতী রায়। তাই পুত্রবধূর প্রেমিক খোকন ফকির বৃদ্ধাকে খুন করার পর শৌচালয়ের চেম্বারে দেহ রেখে দেয়, তথ্য লোপাটের জন্য। ঘটনায় অভিযুক্ত খোকন ফকিরকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে উস্থি থানার পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের সন্দেহ, বধূ এবং খোকনের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ওই বৃদ্ধা। সেক্ষেত্রে খোকন এবং রায় পরিবারের বধূ মিলে সরস্বতীকে হত্যার চেষ্টা করেছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। খোকনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক তথ্য উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে পুলিশের তরফে।