ভাঙড়ে ঢোকার পথে পুলিশি বাধা নওশাদকে ভাঙড়, 16 জুলাই:ফের পুলিশের বাধার সম্মুখীন হলেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। রবিবার কলকাতা থেকে ভাঙড়ের উদ্দেশ্যে যেতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর কনভয় ৷ অভিযোগ, ভাঙড়ে ঢোকার আগে হাতিশালার কাছে পুলিশ ব্যারিকেড করে আইএসএফ বিধায়কের কনভয় আটকে দেয় ৷ এর আগে 14 তারিখও নওশাদকে ভাঙড়ে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ ৷
শুক্রবারও ভাঙড়ের উদ্দেশে যেতে চেয়েছিলেন নওশাদ সিদ্দিকী ৷ সেদিনও তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ ৷ সেই ঘটনার আবারও পুনরাবৃত্তি হল রবিবার ৷ এদিন কলকাতা থেকে ভাঙড়ের উদ্দেশে বেরিয়েছিল আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর কনভয় ৷ কিন্তু ভাঙড়ে ঢোকার ঠিক আগে হাতিশালার কাছে পুলিশ ব্যারিকেড করে বিধায়কের কনভয় আটকে দেয় বলে অভিযোগ ৷ বেশ কিছুক্ষণ গাড়িতেই বসেছিলেন নওশাদ ৷ এরপর গাড়ি থেকে নেমে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের গিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, কেন তাঁকে আটকানো হচ্ছে বার বার। নিজের বিধানসভা এলাকায় কেন তিনি যেতে পারবেন না, তাও জানতে চান নওশাদ ৷ যদিও পুলিশ 144 ধারার কথা বলে তাঁকে নিরস্ত্র করতে চায় ৷
সংবাদমাধ্যমকে নওশাদ বলেন, "পুলিশ আজ আবার নতুন নাটক করছে।" কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে জানান, 144 ধারা জারি থাকার দরুণে তিনি ভাঙড়ে ঢুকতে পারবেন না ৷ এরপর বেশ কিছুক্ষণ কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডাতেও জড়িয়ে পড়েন বিধায়ক। পরে নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, "গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে । সব গাড়ি, সব মানুষ ভাঙড়ে যাচ্ছে ৷ শুধুমাত্র নওশাদ সিদ্দিকী ভাঙড়ে গেলে যত গণ্ডগোল ? নওশাদ সিদ্দিকীকে দেখে যদি পুলিশ প্রশাসন ভয় পায় তাহলে আমাকে মিথ্যা কেস দিয়ে গ্রেফতার করুক। যেমন 21 জানুয়ারি করেছিল।"
আরও পড়ুন: রাজ্যে তৃণমূল আর পাঁচ মাস, সুকান্তর ঘোষণায় ঘোড়া কেনাবেচার আশংকা তৃণমূলে
একইসঙ্গে পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তিনি বলেন, "আমাকে গ্রেফতার করুক পুলিশ ৷ পেন, খাতা সমস্ত কিছুই তো আপনাদের কাছে আছে। আমাকে মিথ্যা কেস দিয়ে গ্রেফতার করুন। মানুষের কাছে কেন যেতে দিচ্ছেন না? ভাঙড়ের মানুষদের এই পরিস্থিতিতে নওশাদ সিদ্দিকীকে প্রয়োজন। কেন আমাকে যেতে দিচ্ছেন না।"