কুলতলি, 25 ফেব্রুয়ারি: প্রেমের স্বার্থে নিজের সন্তানকে খুন করার অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে ৷ আর এ কাজে তাকে সাহায্য করেছ প্রেমিক ৷ ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ 24 পরগনার কুলতলিতে ৷ বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে কুলতলির বাসিন্দা মাফুজা পিয়াদা ৷ স্বামীকে এ বিষয়ে কিছু জানতে দেয়নি স্ত্রী ৷ অভিযোগ, এই সম্পর্কের জেরেই নাকি খুনের ছক কষা হয় ৷ চার বছরের সন্তানকে হত্যা করতেও পিছপা হয়নি মা (Mother allegedly killed her son for Extra Marital Affair) ৷
সূত্রের খবর, কলকাতায় জোগাড়ের কাজ করতেন স্বামী তোয়েব আলি ৷ দম্পতির 4 বছরের একটি ছোট ছেলে রয়েছে ৷ এর মধ্যে কুলতলির আবুল হোসেনের সঙ্গে মাফুজা পিয়াদা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ৷ বেশ কিছু সময় ধরেই তাদের মধ্যে এই সম্পর্ক চলছিল ৷ প্রেমিকের সঙ্গে নতুন করে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখে মহিলা ৷ স্বামী তোয়েব আলি কাজের জন্য বাড়ি থেকে বেরলেই আবুল হোসেন বাড়িতে আসত বলে খবর ৷
জানা গিয়েছে, মায়ের প্রেমে স্বামীর থেকেও বেশি পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল নিরপরাধ শিশুটি ৷ তারই পরিণাম হল মর্মান্তিক ৷ গত মঙ্গলবার তোয়েব আলি কাজে বেরিয়ে যেতেই দুপুরে বাড়ি আসে মাফুজার প্রেমিক আবুল হোসেন ৷ তাদের বিয়ের সিদ্ধান্তে প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় 4 বছরের ছেলে ৷ তাই দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পর স্বামীকে ছেড়ে পালিয়ে গেলেও ছোট ছেলেটিকে প্রাণে মারার সিদ্ধান্ত নেয় মাফুজা ও আবুল ৷ অভিযোগ, নিজের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ককে সফল করতে মা ও তাঁর প্রেমিক মিলে খুন করে 4 বছরের শিশু সন্তানকে ৷ এরপরই নিখোঁজ হয়ে যায় আবদুল হোসেন ৷
আরও পড়ুন: প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে অন্তরঙ্গ পুত্রবধূ, দেখে ফেলায় খুন শাশুড়ি
ঘটনাটির কথা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ৷ তোয়েব আলির অভিযোগের ভিত্তিতে মাফুজাকে বৃহস্পতিবারই গ্রেফতার করা হয়েছিল ৷ ফেরার আবদুল হোসেন শেখকে গ্রেফতার করে শুক্রবার বারুইপুর আদালতে তোলা হয় ৷ মাফুজা পিয়াদাকে আগেই 6 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল বারুইপুর আদালত ৷ এদিন আবদুল হোসেন শেখকেও নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় কুলতলি থানার পুলিশ ৷ শিশু খুনের কিনারা করতে দু’জনকে মুখোমুখি জেরা করবেন তদন্তকারীরা ৷ খুন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।