নাওয়া-খাওয়া ভুলে সিমুই-লাচ্ছা বানাচ্ছেন কারখানার শ্রমিকরা ৷ মগরাহাট, 20 এপ্রিল:হাতে আর মাত্র একটা দিন । তার পরেই ঈদ-উল ফিতর । এই উপলক্ষে দক্ষিণ 24 পরগনার মগরাহাটে সিমুই কারখানাগুলিতে এখন চরম ব্যস্ততা । দিন রাত এক করে কাজ করে চলেছেন শ্রমিকরা । অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়ে চলছে সিমুই ও লাচ্ছা তৈরির কাজ । শুধুমাত্র এই রাজ্যের শ্রমিকেরা নন, বিভিন্ন রাজ্য থেকে শ্রমিকেরা ভিড় জমিয়েছেন মগরাহাটের সিমুই কারখানাগুলিতে ।
করোনার জেরে প্রায় সবকিছুই দু'বছর বন্ধ ছিল ৷ আবার সবকিছু স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে ৷ তাই এ বছরের ঈদের জৌলুসও আলাদা ৷ চাহিদা বেড়েছে সিমুইয়ের । তাই লাভের আশায় জোরকদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন কারখানার মালিকরা ।
এক কারিগর বলেন, এখানে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে কোনওরকম কেমিক্যাল ও রঙ ছাড়াই সিমুই তৈরি হয় । এখানকার সিমুইয়ের একটা আলাদা বাজার রয়েছে ৷ মগরাহাটের তৈরি হওয়া সিমুই জেলা ও কলকাতা ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে যায় । গত বছরের তুলনায় এ বছর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে সিমুইয়ের ৷ তাই নাওয়া খাওয়া ভুলে অতিরিক্ত শ্রমিক এনে চলছে সিমুই তৈরির কাজ ।
সিমুই-লাচ্ছা বানাচ্ছেন মগরাহাটের শ্রমিকরা ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন শেখ বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর সিমুই ও লাচ্ছার চাহিদা বাজারে রয়েছে । সাধারণ মানুষ ঈদ ও রমজান মাস উপলক্ষে সিমুই ও লাচ্ছা কিনতে ভিড় জমিয়েছেন দোকানগুলিতে ।
এক কারিগর পীযূষ মিশ্র জানান, "সিমুই তৈরির ক্ষেত্রে কোনও রকম রং বা কেমিক্যাল দেওয়া হয় না । সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি আমাদের অভিজ্ঞ কারিগররা হাতেই প্রস্তুত করেন ।"
তিনি জানান, প্রথমে জল দিয়ে ময়দাকে ভালো করে মাখাতে হয় ৷ তারপরে তাতে পরিমাণ মতো ঘি এবং ডালডা দেওয়া হয় । এরপর হাতের মাধ্যমে মণ্ড পাকিয়ে গরম তেলে ভাজা হয় । এই কারখানাতে পাঁচ থেকে ছয় রকম সিমুই তৈরি হয় । মগরাহাটের সিমুই এ রাজ্য ছাড়াও ভিন রাজ্যেও পাড়ি দেয় । এই কারখানাতে মোট 50 জন শ্রমিক কাজ করেন । বছরের আর পাঁচটার সময় অন্যান্য পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকলেও রমজান মাসের এই সময়টায় মগরাহাটের এই কারখানাতে এসে ভিড় করেছেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা ।
আরও পড়ুন:গরমের দাপটে ভিড় উধাও চৈত্রের বাজারে, পয়লার আগে হতাশ ক্রেতারা