দক্ষিণ 24 পরগনা, 25 ফেব্রুয়ারি : ইউক্রেনে রুশ সেনার হামলার আঁচ হাজার হাজার কিলোমিটার কিলোমিটার দূরে বাংলায় ৷ বৃহস্পতিবার ভোরে ইউক্রেনের মাটিতে রাশিয়ার প্রথম গোলাটি আছড়ে পড়তেই দুশ্চিন্তায় এ রাজ্যের সাগর থেকে পাহাড়ের বহু পরিবার ৷ যাঁদের পরিবারের কেউ না কেউ ইউক্রেনে রয়েছেন ৷ প্রায় সবাই মেডিক্যালের শিক্ষার্থী ৷ সামরিক হামলার আশঙ্কায় গত বুধবারই ইউক্রেনের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় সেদেশের সরকার ৷ এই অবস্থায় বিদেশ-বিভুঁইয়ে আটকে পড়া ছেলেমেয়ের কুশল-চিন্তায় বাড়ির লোকের ঘুম ছুটেছে (Medical Students from South 24 Parganas Stranded in Ukraine) ৷ তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, সোনারপুরের বাসিন্দা পুষ্পক স্বর্ণকার ৷ আর রায়দিঘির অর্ঘ্য মাঝি এবং অর্কপ্রভ বৈদ্য ৷ অর্ঘ্য এবং অর্কপ্রভ কিয়েভ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র এবং পুষ্পক টারনোপিল স্টেট মেডিক্যালের পঞ্চমবর্ষের পড়ুয়া ৷
গতকাল সন্ধ্যায় পুষ্পক তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলেছিলেন ৷ তিনি জানিয়েছেন, ভারতীয় দূতাবাস তাঁদের বাড়ি থেকে বেরতে নিষেধ করেছে ৷ সেই সঙ্গে সমস্ত নথি এবং শুকনো খাবার ও জলের ব্যবস্থা করে রাখতে বলা হয়েছে তাঁদের ৷ তবে, তখনও পর্যন্ত ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি বিদেশ মন্ত্রক ৷ পরে আটকে পড়া ভারতীয়দের এয়ারলিফ্ট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার ৷ এদিকে, ছেলের চিন্তায় ঘুম উড়েছে প্রতিভা স্বর্ণকার এবং সুজিত স্বর্ণকারের ৷ একটাই প্রার্থনা তাঁদের, ঘরের ছেলে নিরাপদে ঘরে ফিরুক ৷
আরও পড়ুন : Missile Attacks on Central Kyiv : মধ্য কিয়েভে বিস্ফোরণ, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ; জানালেন বিদেশমন্ত্রী কুলেবা
একই অবস্থা রায়দিঘির মণ্ডলপাড়ার মাঝি পরিবারের ৷ অর্ঘ্য মাঝি কিয়েভ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ৷ সেই কিভেই আজ হামলা চালিয়েছে রুশবাহিনী ৷ ঘন ঘন চলছে বোমাবর্ষণ ৷ এই পরিস্থিতিতে ছেলের চিন্তায় ঘুম ছুটেছে মা বিশাখা মাঝি এবং বাবা শিবশঙ্কর মাঝির ৷
অর্ঘ্যর সঙ্গে সেখানে আটকে পড়েছে রাজ্যের আরও তিনজন ৷ তাঁরাও কিয়েভে ডাক্তারি পড়তে গিয়েছেন ৷ অর্ঘ্যর সঙ্গে একই ফ্ল্যাটে থাকেন ৷ তাঁদের মধ্যে অবোক হালদারের বাড়ি জয়নগরে ৷ শুভাশিস ভুঁইয়ার বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে ৷ আর সম্বিত দাস হুগলির জিরাটের বাসিন্দা ৷ অর্ঘ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে এসে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে জানিয়েছেন ৷ হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিয়ো কলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন মা বিশাখা মাঝি ৷