সুন্দরবন, 17 ডিসেম্বর: ভারত আর বাংলাদেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক জলসীমায় সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে নয়া পরিকল্পনা বিএসএফের। সুন্দরবনকে সুরক্ষিত ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবার তিনটিরও বেশি ভাসমান আউটপোস্ট তৈরি করা হয়েছে। 1100 জনের বেশি বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের জওয়ানরা টহল দেবে সুন্দরবনের বিভিন্ন জঙ্গলে। এছাড়াও চল্লিশটিরও বেশি ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে গোটা সুন্দরবন জুড়ে। ইতিমধ্যেই সুন্দরবনকে সুরক্ষিত করার জন্য ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে 12 থেকে 14টি এটিভিএস (ভাসমান জেটি) মোতায়েন করা হয়েছে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীতে।
চলতি বছর 26 জানুয়ারি সুন্দরবনের কোস্টাল এরিয়ায় সুরক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে বিএসএফের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ তারপর ধাপে ধাপে জলপথে সুরক্ষা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করতে নানা পদক্ষেপ নেয় বিএসএফ ৷ বর্তমানে প্রায় 50টি ছোট এবং বড় স্পিড বোটের মাধ্যমে ভারতীয় জল সীমানায় নজরদারি চালায় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স ৷ এছাড়াও বেশ কিছু বড় জাহাজের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে। সীমান্ত বাহিনীকে ভারতের পূর্ব দিকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পুরো 4,096 কিলোমিটার পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৷
যার মধ্যে 2,216.7 কিলোমিটার পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত। এই 2,216.7 কিলোমিটারের মধ্যে 300 কিলোমিটার হল সুন্দরবনের নদীসীমা। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে সুন্দরবনে অবস্থিত বন বিভাগের 'চৌকি'তে পায়ে টহলরত কর্মী স্থাপনের জন্য অনুমোদন চাওয়া হয়েছে ৷ এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক 2019 সালে মোট 9টি ভাসমান আউটপোস্টের অর্ডার দিয়েছিল কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডকে। তিন ক্ষেপে তিনটি করে এই ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট (ফ্লোটিং বর্ডার আউটপোস্ট) সরবরাহের কথা ছিল কোচিন শিপইয়ার্ডের।
চলতি বছরের 26শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে তিনটি অত্যাধুনিক জাহাজ বিএসএফের হাতে তুলে দেয় কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড। সেই তিনটি তরীর নাম সীমা প্রহরী নর্মদা, সীমা প্রহরী কাবেরী ও সীমা প্রহরী সুতলেজ। এই জাহাজগুলি 46 মিটার লম্বা ও 12 মিটার চওড়া। চারটি পেট্রোলিং বা স্পিড বোট বহনে সক্ষম এই জাহাজ। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্ত লাগোয়া সুন্দরবনের প্রতিটি প্রান্তে গিয়ে নজরদারি চালাতেই বিশেষ এই ব্যবস্থা ৷