সাগর, 12 সেপ্টেম্বর: একটু একটু করে এগিয়ে আসছে সমুদ্র । সমুদ্রের এই আগ্রাসন কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা প্রশাসনের । গঙ্গাসাগরে (Gangasagar Erosion) কপিলমুনির প্রাচীন মন্দিরটি অনেক আগেই বিলীন হয়ে গিয়েছে গভীর সমুদ্রে । নতুন কপিলমুনির মন্দিরের (Kapil Muni's Temple) ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন ক্রমশ জোরদার হচ্ছে ।
গঙ্গাসাগরে দিবারাত্র পাড় ভাঙার শব্দ । থেকে থেকেই ভাঙনের ভয়ঙ্কর হুঙ্কার আসছে সাগরের কাছ থেকে । সাগরের ভাঙন সমস্যা দীর্ঘদিনের । সমাধান হয়নি । ফলে নতুন করে পাড় ভাঙছে গঙ্গাসাগরে । সঙ্কটে পড়েছে কপিলমুনির নতুন মন্দির । ভাঙন রুখতে না-পারলে সমুদ্রে বিলীন হয়ে যাবে এই মন্দিরও ৷ জৌলুস হারাবে সুপ্রাচীন তীর্থভূমি গঙ্গাসাগর ।
সাগর ভাঙনে বিচলিত জেলা প্রশাসন ভাঙন রোধে পরিকল্পনা নিয়েছে প্রায় তিন বছর ধরে । এখনও সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করা গেল না কেন, তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে প্রশাসনের অন্দরেই । গঙ্গাসাগরের ভাঙনপ্রবণ প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূল বরাবর সারিবদ্ধ ভাবে নারকেল গাছ পুঁতেছিল প্রশাসন । তারও একাংশ সম্প্রতি ভাঙনের কবলে পড়েছে । এই ঘটনা প্রশাসনের শঙ্কা বাড়িয়েছে ।
আরও পড়ুন:Independence Special : বার্মার ব্রিটিশ কারাগারে একাকী মৃত্যুবরণ শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের
প্রশাসনিক সূত্র জানাচ্ছে, প্রতি বছর গঙ্গাসাগরে 100-200 ফিট এলাকা সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে । 2019 সালে গঙ্গাসাগরের ভাঙন ঠেকাতে তৎপর হয় সরকার । গঙ্গাসাগর-বকখালি উন্নয়ন পর্যদ এবং রাজ্যের পৌর দফতর যৌথ ভাবে এই নিয়ে কাজ শুরু করে । সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা (Bankim Hazra) বলেন, ‘‘গঙ্গাসাগরের মন্দিরকে রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার ৷ ইতিমধ্যেই মাস্টার প্ল্যান তৈরি হয়েছে ৷ ঘূর্ণিঝড় যশে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাগর বিধানসভার বিস্তীর্ণ অঞ্চল । প্রশাসনিক অনুমোদন-সহ সবই প্রস্তুত । কিন্তু কেন্দ্রের তরফে অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না । রাজ্যের পরিবেশ দফতর প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র দিয়েছে । কেন্দ্রের ছাড়পত্র পেলেই কাজ শুরু করা সম্ভব ।’’