গঙ্গাসাগর, 26 অগস্ট: বৈঠকের পর শনিবার নিজেই সরেজমিনে গঙ্গাসাগরের নদী বাঁধ পরিদর্শন করতে এলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক । দক্ষিণ 24 পরগনার জেলাশাসক ও সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গঙ্গাসাগরের কপিল মুনি মন্দির সংলগ্ন নদীবাঁধ পরিদর্শন করেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ৷ উপস্থিত ছিলেন সেচ দফতরের একাধিক ইঞ্জিনিয়র । কীভাবে নদী ভাঙন রোধ করে কপিলমনি মন্দির সংলগ্ন এলাকার রক্ষা করা যায় তা নিয়ে বেশ কয়েক দফা বৈঠক হয় । ইঞ্জিনিয়রদের সঙ্গে বেশ কয়েক দফা মাস্টার প্ল্যান সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বৈঠক করেন সেচমন্ত্রী ।
প্রতিবছর গঙ্গাসাগর মেলাকে কেন্দ্র করে লক্ষ্য লক্ষ্য পুণ্যার্থীর সমাগম হয় গঙ্গাসাগর কপিলমুনি মন্দির সংলগ্ন এলাকায় । দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা ভিড় করেন গঙ্গাসাগরে । তবে এবারের বর্ষায় নতুন করে সাগর ভাঙন শুরু হয়েছে কপিল মুনির আশ্রমের কাছে । মন্দির থেকে 1 কিলোমিটার এলাকার মধ্যেই শুরু হয়েছে ভাঙন । যার জেরে, সাগরমেলার সময় যে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প হয়, তা ওই এলাকা থেকে অন্যত্র সরানোর পরামর্শ দিয়েছে জেলা প্রশাসন । এর মধ্যেই ভাঙন ঠেকাতে উদ্যোগ নিয়েছে সেচ দফতর । নেওয়া হচ্ছে মাস্টারপ্ল্যান । গতবছর মেলার আগেই বোল্ডার ফেলে সেই ভাঙন রোধের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা করা হয় । তবে ভাঙন ঠেকাতে এবার পাকাপাকি ব্যবস্থা করতে চাইছে দফতর । এ নিয়ে শুক্রবার বিধানসভায় দফতরের ইঞ্জিনিয়রদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক । শনিবার তিনি নিজে এলাকা পরিদর্শনে যান, তার আগে স্থানীয় বিধায়ক ও প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি ৷
সূত্রের খবর, এই এলাকার ভাঙন রোধে তৈরি করা হবে মাস্টারপ্ল্যান । গঙ্গাসাগর মেলার আগেই তা বাস্তবায়িত করা হবে । প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, যেখানে এখন সাগরমেলা হয়, সেখানে ভার কমানো হবে । এ বছরই একেবারে তা করে ফেলা না হলেও ধীরে ধীরে একে একে মেলার ভার কমিয়ে মন্দির সংলগ্ন অন্যদিকে সাগরমেলা বসানোর পরামর্শ সরকারকে দিতে চায় সেচ দফতর ।