পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Gangasagar Mela 2023: প্লাস্টিক বর্জিত গঙ্গাসাগর মেলা, পড়ে থাকা আবর্জনা দিয়ে হরেক কিসম

শুরু হয়ে গিয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা ৷ এবার মেলাকে প্লাস্টিক মুক্ত রাখেতই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে (Gangasagar Mela 2023 Plastic free)৷ বিতরণ করা হচ্ছে জৈব ব্যাগ ৷ মেলার আর্বজনাকে সংগ্রহ করে তা থেকে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন রকমের জিনিসপত্র ৷

Gangasagar Mela 2023
শুরু হয়ে গিয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা

By

Published : Jan 14, 2023, 10:25 PM IST

প্লাস্টিক বর্জিত গঙ্গাসাগর মেলা

সাগর, 14 জানুয়ারি: গঙ্গাসাগর মেলা জমে উঠেছে (Gangasagar Mela 2023)। সমুদ্র সৈকতে তিল ধারণের জায়গা নেই । গঙ্গাসাগরে মকর সংক্রান্তির পূণ্যস্নান উপলক্ষ্যে জনজোয়ার। এই বছর গঙ্গাসাগরে কার্যত রেকর্ড সংখ্যক মানুষের জনসমাগম হতে চলেছে এমনটাই আশা করেছে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা । সাগর মেলায় পরিবেশ ও গঙ্গাদূষণ রুখতে প্লাস্টিক মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রকল্পের আওতায় গঙ্গাসাগর বকখালি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তথা জিবিডিএ-র পক্ষ থেকে জৈব পলিমার ব্যাগ বিতরণ করা হচ্ছে । দোকানদার থেকে দর্শনার্থী সকলকেই এই ব্যাগ ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ।

গঙ্গাসাগরের বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল জানান, প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার জন্য জৈব পলিমার ব্যাগ দেওয়া হচ্ছে । এটি দেখতে প্লাস্টিকের মতো হলেও তবে এটি আসলে কর্ন স্টার্চ (Initiative to make Gangasagar Mela 2023 Plastic free) । এই পদার্থটি একশো শতাংশ দ্রবণীয় । তিন মাস ব্যবহার না-হলে এই পদার্থটি নিজেই মিশ্রিত হয়ে যাবে । পদার্থটি এক ধরণের প্লাস্টিকের বিকল্প হিসাবে ব্যবহৃত হয় । ইতিমধ্যেই 200 বেশি স্বেচ্ছাসেবীদের দ্বারা এই ব্যাগটি তীর্থযাত্রীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে । এর সঙ্গে দোকানদারদের হাতে কাপড় ও কাগজের ব্যাগও দেওয়া হচ্ছে । যাঁদের কাছে প্লাস্টিকের ব্যাগ দেখা যাচ্ছে তাঁদের কাছ থেকে প্লাস্টিক ব্যাগ নিয়ে পরিবর্তে জৈব পলিমার ব্যাগ দেওয়া হচ্ছে ।

আরও পড়ুন: পুণ্যস্নানে দুর্ঘটনা এড়াতে এনডিআরএফের সঙ্গে নিরাপত্তার দায়িত্বে লিলি-রোমিও

গঙ্গাসাগর সৈকতে, মকর সংক্রান্তির জন্য একটি অস্থায়ী কর্মশালা তৈরি করা করেছে জিবিডিএ (গঙ্গাসাগর বকখালী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) । সেখান থেকেই জনগণের মধ্যে 4.5 লক্ষ পলি ব্যাগ ও 20 হাজার নন-ওভেন মেটিরিয়্যালের ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে । এই প্রসঙ্গেই জেলা শাসক সুমিত গুপ্ত জানান, আর্বজনাকে রিসাইকেলিং করে কীভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র বানানো যায়, তা নিয়ে একটি কর্মশালা হচ্ছে ৷ মেলা শেষের পরে কাচের বোতল, পুরানো কাপড় এবং অন্যান্য জিনিস সৈকত থেকে সংগ্রহ করা হবে । ফেলে দেওযা জিনিস যে আবারও পুনর্ব্যবহার করা যায় সমস্তটা কর্মশালায় দেখানো হয় । ব্যবহৃত কাচের বোতলগুলি রঙিন করে সুন্দর ফুলদানি তৈরি করা হচ্ছে, এছাড়া পুরাতন পোশাক থেকে মাদুর এবং ব্যাগ প্রস্তুত করছেন মহিলারা । এই কাজ করার জন্য বিভিন্ন এনজিও এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সহায়তা নেওয়া হচ্ছে । মেলার পরে এটি বিবেচনা করা হবে কীভাবে এই জিনিসগুলি মানুষের কাছে পৌছে দেওয়া যেতে পারে ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details