কাকদ্বীপ, 14 নভেম্বর : মাত্র চার মাস হয়েছে বিয়ের । তারই মধ্যে বধূকে মেরে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে । বধূর গায়ের রং কালো । তাই শ্বশুরবাড়ির দাবি ছিল দু’ লক্ষ টাকা পণের । বিয়েতে সমস্ত দাবি পূরণ করেছিল পাত্রীর বাড়ি । তারপরও সদ্য বিবাহিতাকে শ্বশুরবাড়িতে চরম অত্যাচারের শিকার হতে হল । পেটানো হল লোহার রড দিয়ে । কাঠগড়ায় স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন । দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নির্যাতিতা । ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ 24 পরগনার হার্ডউড পয়েন্ট কোস্টাল থানা এলাকার ।
মাত্র চার মাস আগে প্রত্যুষ গুছাইতের সঙ্গে বিয়ে হয় মিতালির । বিয়ের সময় প্রচুর যৌতূক নিয়েছিল প্রত্যুষের মা-বাবা । মিতালির গায়ের রং কালো হওয়ার জন্য 2 লক্ষ টাকা নগদ দাবি করে পাত্রপক্ষ । আনুসঙ্গিক আরও জিনিসপত্র তো ছিলই । পাত্রীপক্ষ সেই সমস্ত দাবিই পূরণ করে । স্থানীয়রা জানান, মেয়ের গায়ের রং চাপা, তাই তাঁকে পাত্রস্থ করতে সমস্যা হবে বলে একটা আতঙ্ক ছিল পাত্রীপক্ষের । তাই দেদার খরচ করেও মেয়েকে গোত্রান্তরিত করেন কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা । তবু কালো মেয়ের হওয়ার খোঁটা পিছনে ছাড়ে না ।
অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পর থেকেই মিতালিকে নানা ভাবে নির্যাতন করা হচ্ছিল । মারধর চলছিল প্রায় প্রতিদিনই । বাপের বাড়ি থেকে আরও টাকা আনার জন্যও চাপ দেওয়া হচ্ছিল । বধূকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে রড, শাবল দিয়ে মারধর করা হয় । গরম রড দিয়ে হাতে-পিঠে ছ্যাঁকাও দেওয়া হচ্ছিল । তাঁকে স্বামী শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টাও করা হয় বলে মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে । মিতালির বাপের বাড়ির লোকজন খবর পেয়ে শেষে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন । পুলিশের তৎপরতায় শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে মিতালিকে উদ্ধার করা হয় । আপাতত তিনি হাসপাতালে ভর্তি । চিকিৎসা চলছে । অভিযুক্ত স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন ও খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে ।