স্ত্রীর বেধড়ক মারে হাসপাতালে স্বামী ক্যানিং, 1 মে:রাতের অন্ধকারে ফাঁকা মাঠের মধ্যে থেকে হাত-পা বাঁধা এক যুবককে উদ্ধার করলে পুলিশ। রবিবার রাতে ক্যানিং থানার অন্তর্গত গোপালপুর পঞ্চায়েতের মানিক নস্কর পাড়া এলাকার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে স্ত্রী অবাধ্য, কথা শোনে না। এর প্রতিবাদ করেছিলেন স্বামী। তার পালটা হিসেবে হাত-পা বেঁধে যুবককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল স্ত্রী, শ্যালক-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে
রবিবার রাতে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মাঠের মধ্যে থেকে গুরুতর জখম সদানন্দ পৈড়া নামে ওই যুবককে উদ্ধার করে ক্যানিং থানার পুলিশ। পরে পুলিশের গাড়িতে করেই ওই যুবককে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে ওই যুবক আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় ওই যুবকের স্ত্রী ও শ্যালককে আটক করে তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় সাত বছর আগে ক্যানিং থানার অন্তর্গত ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোলাবাড়ি 2 নম্বর গ্রামের যুবক সদানন্দ পৈড়ার সঙ্গে বিয়ে হয় গোপালপুর পঞ্চায়েতের গলাডহরা গ্রামের মানিক নস্কর পাড়ার অষ্টমীর।
দম্পতির এক তিন বছরের মেয়ে রয়েছে। পেশায় রাজমিস্ত্রী সদানন্দ শ্বশুরবাড়ি এলাকায় জায়গা কিনে বসবাস শুরু করেন। অভিযোগ, প্রতিদিনই স্বামী-স্ত্রী'র মধ্যে বচসা চলে। সদানন্দ পৈড়ার দাবি, স্ত্রী একদমই কথা শোনে না, অবাধ্য। স্বামী সদানন্দ পৈড়ার অভিযোগ, প্রতিবাদ করলেই তাঁকে মারধর করে পুলিশে দেওয়ার হুমকি দেয় ৷ গতকালও ফোন করছিল স্ত্রী। কোথায় ফোন করছে, জানতে চাইলে তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। তিনি এর প্রতিবাদ করেন। সেই সময় স্ত্রী, শ্যালক ও আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন খুব মারধর করে তাঁকে। তারপর হাত-পা বেঁধে ফাঁকা মাঠে ফেলে দেওয়া হয় ৷
আরও পড়ুন:2 দিন ধরে স্বামীর মৃতদেহ আগলে স্ত্রী, দুর্গন্ধের চোটে পুলিশ ডাকলেন প্রতিবেশীরা
তাঁর কথায়, প্রতিবেশীরা ঘটনার খবর জানতে পেরে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করে। পুলিশ উদ্ধার না-করলে মরেই যেতাম। অন্যদিকে, ওই যুবকের স্ত্রী অষ্টমীর দাবি, বিয়ের পর থেকে অত্যাচার করতে থাকে স্বামী। প্রতিবাদ করলেই আমাকে বেধড়ক মারধর করে। পাড়ায় কয়েকবার বিচারও হয়েছিল। যদিও যুবকের স্ত্রী ও শ্যালককে আটক করে সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।