সোনারপুর, 21 সেপ্টেম্বর: সোশাল মিডিয়ায় আলাপ থেকে প্রেম, তারপর বিয়ে । বিয়ের তিন মাসের মধ্যেই সম্পর্কের করুণ পরিণতি ৷ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল 17 বছরের নাবালিকা ৷ ঘটনায় খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তার স্বামীকে ৷ অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি করেছে ওই দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর পরিবার । ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে সোনারপুর থানা এলাকায় ৷ অভিযুক্ত ঈশান দাসকে বৃহস্পতিবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে ৷
জানা গিয়েছে, নাবালিকার এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল । সোশাল মিডিয়ায় তার সঙ্গে আলাপ হয় 25 বছর বয়সি ঈশানের । সোনারপুরেরই যুবক ঈশানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে কিশোরী । বিষয়টি দুই পরিবারে জানাজানি হলে নাবালিকার পরিবার থেকে এখনই বিয়েতে বাধা দেওয়া হয় ৷ এরপর পরিবারের অমতে পালিয়ে গিয়ে মাত্র তিনমাস আগে বিয়ে করে দু'জনে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই ওই বধূর উপর অত্যাচার শুরু হয় বলে অভিযোগ ।
বুধবার কিশোরীর দিদির কাছে হঠাৎ ফোন আসে তাঁর বোন অসুস্থ। তারপর সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে তিনি গিয়ে দেখেন অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছে তাঁর বোন। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন বলে পরিবারের দাবি। এই ঘটনায় ঈশান-সহ তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সোনারপুর থানায় । কিশোরীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঈশানকে গ্রেফতার করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ । ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে । তবে মৃত্যুর মূল কারণ জানতে নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ ।
আরও পড়ুন:পরপর তিন কন্যা, 'অপরাধে' স্ত্রী-মেয়েদের কীটনাশক খাওয়ানোর অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে
মৃতের মা বলেন, "সোশাল মিডিয়ায় ওই ছেলেটার সঙ্গে আমার মেয়ের আলাপ হয় ৷ মেয়েকে ব্ল্যাকমেল করত ছেলেটা ৷ বলত বিয়ে না-করলে আত্মহত্যা করবে সে ৷ এরপর মেয়ে পালিয়ে গিয়ে ওর সঙ্গে বিয়ে করে ৷ আমরা মেয়েকে নিতে গেলে ছেলেটি ও তার পরিবার আসতে দেয়নি ৷ তিনমাস হল বিয়ে হয়েছে ওদের ৷ আমার মেয়েকে ওরা অত্যাচার করেছে ৷ আমারা মেয়েকে খুন করা হয়েছে ৷ ছেলেটির কড়া শাস্তি চাই ৷" মৃতের দিদি বলেন, "আমাকে বোনের স্বামী ফোন করে বলেছিল সে গলায় দড়ি দিয়েছে ৷ হাসপাতালে গিয়ে দেখালাম বোনের নিথর দেহ ৷ মুখে ঘুষি মারার দাগ ছিল বোনের ৷ তলপেটেও রক্তজমাটের দাগ ছিল ৷ গলায়ও ফাঁসের দাগটা অন্যরকম লাগছিল ৷ আমরা অভিযুক্তের ফাঁসি চাই ৷"