পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

যুবতিকে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ, গ্রেপ্তার স্বামী-শ্বশুর - Accused of burning housewife due to betting

বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য মৌসুমির উপর অত্যাচার চালানো হত বলে অভিযোগ ৷ বিভিন্ন সময় ভয় দেখিয়ে জোর টাকা চাওয়া হত ৷ দিন পনেরো আগে 5 হাজার টাকা মৌসুমির যাদবপুরের বাবারবাড়ি থেকে নিয়ে আসে তাঁর স্বামী স্বপন । যুবতির মৃত্যুর পর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে মৌসুমির পরিবার । ঘটনার তদন্তে নেমে মৃতের স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ ৷

burning housewife
মৌসুমি সরকার

By

Published : Dec 12, 2019, 12:29 PM IST

Updated : Dec 12, 2019, 2:20 PM IST

সোনারপুর, 12 ডিসেম্বর : পণের জন্য যুবতিকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ৷ সোনারপুর থানা এলাকার লাঙলবেড়িয়ার ঘটনা ৷ মৃতের নাম মৌসুমি সরকার (৩২) ৷ চার বছর আগে যাদবপুরের আদর্শনগরের বাসিন্দা মৌসুমির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সোনারপুরের লাঙলবেড়িয়ার বাসিন্দা স্বপন সরকারের । তাঁদের আড়াই বছরের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে ৷ ঘটনার তদন্তে নেমে স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ ৷

মৃতের পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য মৌসুমির উপর অত্যাচার চালানো হত ৷ বিভিন্ন সময় ভয় দেখিয়ে জোর টাকা চাওয়া হত ৷ দিন পনেরো আগে 5 হাজার টাকা মৌসুমির যাদবপুরের বাবারবাড়ি থেকে নিয়ে আসে তাঁর স্বামী স্বপন ।

বুধবার সকালে মৌসুমি অসুস্থ বলে তাঁদের বাড়িতে ফোন করে জানানো হয় ৷ এই খবর পেয়ে মৌসুমির পরিবার মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে এসে দেখে খাটের মধ্যে শোয়ানো মৌসুমির মৃতদের । আর শরীরের অধিকংশ অংশই পুড়ে গেছে ৷ এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয় থানায় ৷ ঘটনার তদন্তে নেমে স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ ৷ মৃতদেহের আজ ময়নাতদন্ত হবে ৷

যুবতিকে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ


মৃতের কাকা সুদীপ পাল বলেন, "শ্বশুর,শাশুড়ি ও স্বামী এই তিনজনে মিলে মৌসুমিকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে । মেয়েকে মেরে ফেলার পর আমাদের ফোন করে খবর দেওয়া হয় যে মৌসুমি মারা গেছে । আমরা খবর পেয়ে এসে দেখি খাটে মৌসুমি শুয়ে আছে । তার দেহের সর্বাঙ্গ পুড়ে গেছে । মেয়ের উপর প্রায়ই অত্যাচার চালানো হত । নানা অছিলায় শ্বশুরবাড়ি থেকে টাকা চাইত জামাই । কিছুদিন আগে জামাই স্বপন সরকার গাড়িতে নিজের অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে বলে 5 হাজার টাকা নিয়ে যায় ।"

মৌসুমির বাবারবাড়ির এক প্রতিবেশী মিতালি দাস বলেন, "মৌসুমিকে আমরা ছোটোবেলা থেকে চিনি । অত্যন্ত সাধাসিধে মেয়ে । শ্বশুরবাড়ির লোকেরা দাবি করছে প্রায় এক মাস আগে বাড়ির কাজ করতে গিয়ে গায়ে আগুন লেগে যায় । কিন্তু তারা হাসপাতালে ভরতি করেনি । এসব কথা আমাদের বিশ্বাস হয়নি । কেন তারা হাসপাতালে ভরতি করেনি তা জানতে চাইলে বলে মেয়ের বাবারবাড়ির লোকেরা বারণ করায় ভরতি করানো যায়নি । একথা সম্পূর্ণ মিথ্যা । মেয়েকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে ।"

Last Updated : Dec 12, 2019, 2:20 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details