নরেন্দ্রপুরে 7 বছরের শিশুকে প্রাণে বাঁচিয়েছেন অনিমা নস্কর নরেন্দ্রপুর (দক্ষিণ 24 পরগনা), 17 মার্চ: ওড়না দিয়ে সাত বছরের পুত্র সন্তানকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দিলেন মা ! তবে, পরিচারিকার তৎপরতায় প্রাণে বাঁচল শিশুটি (House Help Saves Child After Mother Tried to Strangulate Him) ৷ আর এর পরেই বাড়ির ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠল ওই মহিলার বিরুদ্ধে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ 24 পরগনার নরেন্দ্রপুরের একটি অভিজাত আবাসনে ৷ অভিযুক্ত মহিলার নাম পারমিতা আহমেদ ৷ তাঁর বিরুদ্ধে স্বামী মুনির আহমেদ ছেলেকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন পুলিশে ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, বোলপুুরের বাসিন্দা মুনির আহমেদের সঙ্গে বেশ কয়েকবছর আগে পারমিতার বিয়ে হয় ৷ মুনির আহমেদ পেশায় ব্যাংক আধিকারিক ৷ কর্মসূত্রে তিনি শিলিগুড়িতে গিয়েছিলেন ৷ সেখানেই পারমিতার সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর ৷ দু’জনের মধ্যে 7 বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল ৷ কিন্তু, ভিন ধর্মের হওয়ায় বাড়িতে কাউকে না জানিয়ে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা ৷ পরবর্তী সময়ে কলকাতা বদলি হয়ে চলে আসেন মুনির ৷ নরেন্দ্রপুরে একটি অভিজাত আবাসনে তাঁদের ফ্ল্যাট রয়েছে ৷
অভিযোগ এদিন সকালে পারমিতা তাঁর 7 বছরের ছেলেকে একটি ওড়ানায় ফাঁস দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেন ৷ বিষয়টি বাড়ির পরিচারিকার নজরে আসে ৷ তিনি দ্রুত ঘরে ঢুকে শিশুটিকে কোলে নেন ৷ পরিচারিকা অনিমা নস্কর জানিয়েছেন, পারমিতাই নাকি ছেলের গলার ফাঁস খোলেন ৷ শিশুটির গলার ফাঁসের দাগ পড়ে গিয়েছিল ৷ তবে, সে প্রাণে বেঁচে গিয়েছে ৷ এরপরেই অনিমা বিষয়টি প্রতিবেশীদের জানান ৷ কিন্তু, লোকজন বিষয়টি জানতে পারায়, অভিযোগ বহুতলের ব্যালকনি থেকে নিচে ঝাঁপ দেন পারমিতা ৷
আরও পড়ুন:পণের দাবিতে ধারাল অস্ত্র দিয়ে বধূকে খুনের চেষ্টা শ্বশুরবাড়ির লোকেদের !
তাঁকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি করানো হয়েছে ৷ অন্যদিকে, স্ত্রীর বিরুদ্ধে ছেলেকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন মুনির আহমেদ ৷ তিনি কলকাতায় একটি ব্যাংকে কর্মরত ৷ পুলিশ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে ৷ জানা গিয়েছে, সাম্প্রতিককালে মুনির এবং পারমিতার বৈবাহিক সম্পর্কে চিড় ধরেছিল ৷ প্রায় বাড়িতে অশান্তি লেগে থাকত ৷ সেই কারণেই মানসিক অবসাদ থেকে এই ঘটনা কি না, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ ঘটনায় মুনির আহমেদকেও পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে ৷