গোসাবা, 10 জুন : বুলবুল, আমফান, যশ ঘূর্ণিঝড় বারবার সুন্দরবনের গোসাবার বিস্তীর্ণ অঞ্চলগুলিতে তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে । স্মৃতি এখনও দগদগে ৷ আবার দুর্যোগের ঘনঘটা গোসাবা দীপবাসীদের মনে । এ বার সামনে গ্রহণ ও কোটালের জোড়া ফলা ।
সেখানকার মানুষজন দেখেছেন কীভাবে মুহূর্তের মধ্যে শান্ত নদী রুদ্ররূপ ধারণ করে একের পর এক গ্রাম প্লাবিত করে নিয়ে যায় । সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় যশে কার্যত তছনছ হয়ে গিয়েছে সুন্দরবনের এই দ্বীপ অঞ্চল গোসাবা । সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে স্থায়ী নদীবাঁধ না থাকায় বারবার দুর্যোগের কবলে পড়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষদের । নদী আর সমুদ্রের রুদ্র রূপের কাছে গ্রামবাসীদের রক্ষা করতে পারে না কাঁচামাটির বাঁধগুলি ৷ বারবার বাঁধ ভেঙে বানভাসি হয় সুন্দরবনের একাধিক অঞ্চলের মানুষ জন ।
আরও পড়ুন:শিয়রে ভরা অমাবস্যার কোটাল, সুন্দরবনে সতর্কতা প্রচারে প্রশাসন
ঘূর্ণিঝড় যশের তাণ্ডবের পর সুন্দরবনের মানুষজন উঁচু বাঁধের ধারে থেকে কোনওক্রমে প্রাণে রক্ষা পেলেও তাঁদের সর্বস্ব চলে গিয়েছে জলের তলায় । এখন গোসাবা মানুষের মনে আবারও দুর্যোগের ঘনঘটা । 1 তারিখ শুক্রবার আবারও গোসাবা-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল বানভাসি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । গ্রহণ ও কোটালের জেরে সুন্দরবন লাগোয়া উপকূল তীরবর্তী নদীগুলির আবারও জলস্ফীতি দেখা দেবে বলে আশঙ্কা ৷ নদী বাঁধ ভেঙে আবারও বানভাসি হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।
ইতিমধ্যে প্রশাসনের তরফ থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামতির কাজ চালানো হচ্ছে । উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে মাইকিং-এর মাধ্যমে স্থানীয়দের সতর্কীকরণ করা হচ্ছে ৷ পাশাপাশি গ্রামবাসীদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ারও ব্যবস্থা করছে প্রশাসন ।