মৌসুনি দ্বীপ, 21 মে:নির্জন দ্বীপে আশ্রয় নিয়েও শেষ রক্ষা হল না ৷ অবশেষে পুলিশের জালে গ্রেফতার অভিযুক্তরা। বিষ্ণুপুরের সামালিতে খুনের ঘটনার পর থেকে এলাকা থেকে গা-ঢাকা দিয়েছিল অভিযুক্তরা। সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশের সহযোগিতায় মৌসুনি দ্বীপের বালিয়াড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার অভিযুক্তরা। উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় এলাকার একটি চায়ের দোকানে ক্যারাম খেলছিলেন আইজুদ্দিন। সেই সময় দু'টি বাইকে করে 4 জন দুষ্কৃতী আসে। যার মধ্যে তিনজনকে শনাক্ত করতে পেরেছেন স্থানীয়রা। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা আসার পরেই সেখানে প্রথমে বোমাবাজি শুরু করে। এরপর আইজুদ্দিনের উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। প্রথমে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এরপর গুলি চালানো হয়।
আতঙ্কে স্থানীয়রা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। গুলি চালানোর পর দুষ্কৃতীরা অন্য একটি রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যায়। তবে সেই সময় মৃতের বোন তাদের চিনতে পারেন। ঘটনার পরে আইজুদ্দিনকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ। কী কারণে খুনের ঘটনা তা এখনও জানা যায়নি। তবে জানা গিয়েছে, আইজুদ্দিন মাটি কাটার কাজ করতেন। অভিযুক্তদের সঙ্গে বেশ কয়েকদিন ধরে তাঁর ঝামেলা চলছিল। ফলে পুরনো শত্রুতার জেরে তাঁকে খুন করা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷