কুলতলি, 8 ডিসেম্বর :নিজের চেনা বাসস্থানে ফিরল দক্ষিণরায়। কুলতলির ভুবনেশ্বরী গ্রামের নস্কর ঘেরিতে ঢুকে পড়া সুন্দরবনের বাঘটিকে ধরা পড়ার পরই রাতেই নদীপথে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বন দফতরের ঝড়খালির ক্যাম্পে ৷ সকালে বাঘটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঝড়খালি ও কুলতলি থেকে আনা হয় দু'জন পশু চিকিৎসককে। আজ বিকেলে বাঘটিকে বনকর্মীরা সুন্দরবনের কলসের জঙ্গলে ছেড়ে দেয় (Tiger Released At Kultali)।
মঙ্গলবার সাত সকালে লোকালয়ে বাঘের পায়ের ছাপ দেখা মেলায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সুন্দরবনের কুলতলি ব্লকের ভুবনেশ্বরী গ্রামের নস্কর ঘেরি এলাকায়। এদিন স্থানীয় মানুষ গ্রামের ধানক্ষেতে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান। মুহূর্তেই গ্রামে বাঘ ঢোকার খবর ছড়িয়ে পড়ে। খবর চাউর হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। গ্রামবাসীরা ঘরের দরজা জানলা বন্ধ করে রাখেন।
গ্রামবাসীদের দাবি, বাঘটি গ্রামের একটি ধান ক্ষেতে লুকিয়ে রয়েছে। এদিকে গ্রামের লোকজন একত্রিত হয়ে লাঠি নিয়ে গ্রামের ঢোকার মুখে পাহারা দিতে শুরু করেন। যাতে কোনওভাবে বাঘটি বাড়িতে ঢুকতে না পারে। এদিকে গ্রামে বাঘ ঢোকার খবর পেয়েই বন দফতরের রায়দিঘি রেঞ্জের বনকর্মীরা নদীপথে জাল, ঘুম পাড়ানি বন্দুক নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। বাঘ ঢোকাকে ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা থাকায় ঘটনাস্থলে যায় স্থানীয় মৈপীঠ উপকূল থানার ওসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী।
আরও পড়ুন: কয়েকঘণ্টার চেষ্টা, কুলতলিতে বনদফতরের বাগে এল দক্ষিণরায়
উল্লেখ্য, কয়েকদিন ধরেই সুন্দরবনের জঙ্গল থেকে একটি বাঘিনী রাতের অন্ধকারে বেরিয়ে নদী সাঁতরে কুলতলির লোকালয়ে চলে আসছিল। আবার আপন খেয়ালে জঙ্গলে ফিরে যাচ্ছিল। স্বাভাবিকভাবেই বাঘের আগমনে ঘুম ছোটে স্থানীয় বাসিন্দাদের। শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে বাঘটি। অবশেষে বাঘটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয় ৷