পাথরপ্রতিমা, 20 জুলাই:প্রথমেপ্রার্থনা তারপর দরজা বন্ধ করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রেখে দিলেই নাকি বেঁচে উঠবে শিশু ! এমনই দাবি করেছিলেন দীক্ষাগুরু ! তার কথায় বিশ্বাস করে একরত্তিকে ফিরে পেতে প্রায় 19 ঘণ্টা শিশুটিকে অন্ধকার ঘরেই রেখে দিয়েছিল পরিবার ৷ ফল যা হওয়ার তাই হল ৷ মৃতদেহ খুবলে খেল পিঁপড়ে (Patharpratima witnessed barbaric incident)! হাড় হিম করা এই ঘটনার সাক্ষী রইল দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা ৷ পাশাপাশি অন্ধকার ঘরে রেখে দেওয়ায় গরমে দেহটি গলতেও শুরু করে ৷ খবর জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী ৷ অভিযুক্ত গুরুদেবের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে স্থানীয় পঞ্চায়েত ৷ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে পুকুরে পড়ে যায় বছর দুয়েকের গৌরব মাইতি ৷ মাধবনগর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা ৷ মরদেহ বাড়িতে ফিরিয়ে আনার পরই শুরু হয় ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান। স্থানীয়দের সন্দেহ ওই এলাকার এক দম্পতি এবং তাদের দলবলই জানায় শিশুটিকে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব ! এদের এলাকায় সবাই 'মন্ডলী' নামে ডাকে ৷ একথা শুনেই সন্তান বেঁচে উঠবে এই আশায় পরিবারও নানা কুসংস্কারমূলক কাজ করতে রাজি হয়ে যায় ৷ শিশুর মা ববিতা মাইতি জানান, সন্তানকে বাঁচিয়ে দেওয়া হবে এই বিধান দিয়ে গুরু তাঁদের মৃত শিশুকে ঘরের মধ্যে রাখতে বলেন। তারপর ওই ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে বিকেল চারটে থেকে প্রায় রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত চলে কাছে প্রার্থনা। আরও পরে মণ্ডলীর লোকজন চলে যাওয়ার সময় ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়ে যান এবং বলে যান সারারাত দরজা খোলা যাবে না। ঘরের ভিতরে কেউ ঢুকতেও পারবে না। সকাল হলেই শিশু নাকি বেঁচে উঠবে !