ঢোলাহাট, 6 জুলাই :পুরানো প্রেম ফিরে পেতে নাবালিকা প্রেমিকার উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল প্রেমিক । কিন্তু সম্পর্কে ফিরতে রাজি না-হওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ওই ছাত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয় সে । এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই মেয়েটি অপমানে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠল ।
দক্ষিণ 24 পরগনার ঢোলাহাট থানার রবীন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের 14 নম্বর মৃণালনগরে ঘটনাটি ঘটেছে । পরে খবর পেয়ে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় । পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার বয়স 16 বছর ৷
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃণালনগর এলাকার সাহা পাড়ার বাসিন্দা ওই ছাত্রী স্থানীয় রাখাল বিদ্যামন্দিরে পড়ত । এ বছরই ছিল তার মাধ্যমিক পরীক্ষা । দুই ভাইবোনের মধ্যে সে ছিল বড় । স্কুলে মেধাবী ছাত্রী হিসেবে পরিচিত ছিল তার ।
আরও পড়ুন:প্রেমিকার ভাইয়ের হাতে প্রাণ গেল কিশোরের
গত দু'বছর আগে প্রতিবেশী যুবক বাপ্পা বারিকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে মেয়েটি । বাড়িতে কিছু না জানিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল সে ৷ পরে পরিবারের লোকজন থানায় খবর দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হোমে রাখে । গত বছরই তাকে হোম থেকে বাড়িতে ফেরানো হয় । প্রেমের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসে স্কুলেও ভর্তি হয় নাবালিকা । কিন্তু নতুন করে সম্পর্ক তৈরির জন্য বাপ্পা মেয়েটিকে চাপ দিতে থাকে বলে অভিযোগ । কিন্তু তাতে রাজি ছিল না সেই ছাত্রী ।
এরপর ছাত্রীর নামে ফেসবুকে একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি পোস্ট করে বাপ্পা । সেই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই অপমানে ছাত্রীটি আত্মহত্যা করে বলে অভিযোগ । রবিবার রাতে বাড়ির পাশের একটি গাছে গলায় গামছার ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়ে সে । বিষয়টি নজরে আসতেই তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।
আরও পড়ুন:অন্যের স্ত্রীকে নিয়ে ঘর বেঁধে খুন হতে হল যুবককে, ধৃত স্বামী
এ দিন মৃতদেহটির ময়নাতদন্ত হয় কাকদ্বীপ হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যাওয়া হয় । মৃতের পরিবারের লোকজন থানায় বাপ্পা বারিকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন । পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক বর্তমানে ভিন রাজ্যে কর্মরত। এই ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা এবং তথ্য-প্রযুক্তি আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ ।