নামখানা, 28 মে : প্রতিবছর বর্ষা আসে আর নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় সুন্দরবন এলাকা । ভিটেহারা হতে হয় উপকূলবর্তী এলাকার মানুষজনদের । স্বাধীনতার পর এই রাজ্যে পরিবর্তন হয়েছে বহু সরকারের । কিন্তু নদী বাঁধের কোনও পরিবর্তন ঘটেনি । সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে থাকে কাঁচা মাটির বাঁধ । কেন্দ্রের পাঠানো হাজার হাজার কোটি টাকার নয়ছয় হয়েছে নদী বাঁধ তৈরির নামে । তাই বছরের পর বছর এই এলাকার মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে । শুক্রবার নদীবাঁধ পরিদর্শন করে একথা বলেছিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
শনিবার নামখানা ব্লকের দেবনগর, দ্বারিকনগর পরিদর্শন করতে যান বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি । নদীবক্ষ দিয়ে যাওয়ার পথে দু'পারের বিস্তীর্ণ কাঁচা বাঁধ পরিদর্শন করেন । বিভিন্ন এলাকায় নদী পথে নেমে বেশ কিছু এলাকা পায়ে হেঁটে নদী বাঁধের অবস্থা জানার চেষ্টা করেন ৷ সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথাও বলেন । নদীবাঁধ পরিদর্শনের আগে বকখালিতে গ্রামবাসীদের সঙ্গে ক্রিকেটও খেলতেও দেখা গেল বিজেপি নেতাকে ।
নদীবাঁধ পরিদর্শনের পর দিলীপ ঘোষ বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকার আইলার পর থেকে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে সুন্দরবনের নদী বাঁধ নির্মাণের জন্য । সেই টাকার কোনও হিসাব রাজ্য সরকার দেয়নি । 100 দিনের কাজের টাকায় নদী বাঁধে মাটি না দিয়ে মাটি কাটার মেশিন দিয়ে সেই কাজ করা হচ্ছে । শুধু তাই নয় 100 দিনের কাজের টাকা মাইকে ঘোষণা করে দলীয় পার্টি অফিস থেকে সেই টাকা ভাগ হয় । রাজ্য সরকার প্রতিবছর পাঁচ কোটি ম্যানগ্রোভ লাগানোর কথা বললেও নদী বাঁধের বিস্তীর্ণ এলাকায় ম্যানগ্রোভ নেই । যদি ম্যানগ্রোভ থাকত, তাতেও কিছুটা নদীবাঁধ রক্ষা করা যেত।"