পাথরপ্রতিমা, 30 জুন: "জলে কুমির ডাঙায় বাঘ"৷ এটাই সুন্দরবনের মানুষদের রোজনামচা । সুন্দরবন বলতেই মনে পড়ে যায় ঘন জঙ্গল আর দক্ষিণরায় । সুন্দরবনের প্রত্যন্ত দ্বীপগুলিতে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হল জলপথ । রাজ্যে বর্ষা প্রবেশ করতে না করতে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা পাথরপ্রতিমার বিভিন্ন নৌকার ঘাটগুলির জরাজীর্ণ ও কঙ্কালসার চেহারা (Pathar Pratima Boat Wharf)। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভেঙে পড়েছে বহু নৌকার ঘাট । কার্যত জীবনবাজি রেখে নদী পারাপার হতে হয় নিত্যযাত্রীদের ।
5টি দ্বীপ সমূহ নিয়ে গঠিত হয়েছে পাথরপ্রতিমা বিধানসভা । পাথরপ্রতিমার প্রত্যন্ত দ্বীপ গুলিতে পৌঁছতে হলে এখনও গ্রামবাসীদের ভরসা সেই জলপথ । পাথরপ্রতিমা বিধানসভার মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে মৃদঙ্গ ভাঙা, জগদ্দল, কার্জন ক্রিক ও রামগঙ্গা ঠাকুরাইন নদী । প্রতিদিন নিত্য প্রয়োজনে নদী পারাপার হতে হয়, প্রত্যন্ত দ্বীপ এলাকার মানুষদের । আর এই নদীর নৌকার ঘাটগুলির রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জরাজীর্ণ কঙ্কালসার দশা । রাজ্যে পালাবদল হলেও বদলায়নি পাথরপ্রতিমার প্রত্যন্ত দ্বীপ এলাকায় মানুষের সমস্যা । পাথরপ্রতিমার বিভিন্ন নদী ও নদীর চরে ওত পেতে থাকে কুমির ।
বর্ষাকালে আরও করুণ দশা হয়ে যায় । নদীর নৌকাঘাটগুলি বেহাল থাকার জন্য সমস্যায় পরেন রোগী ও রোগীর আত্মীয়রা । পাথরপ্রতিমা রাখালপুর আর্ডির বাজার খেয়া ঘাটের বেহাল দশা একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভেঙে পড়েছে সম্পূর্ণ নৌকা ঘাট । বিকল্প কোনও নৌকাঘাট না থাকায় সমস্যায় পড়েছেন গ্রামবাসীরা । শুধু আর্ডির বাজার নয় রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে ভেঙে পরেছে হরিজীর খেয়া ঘাট, যশোদার খেয়া ঘাট, কুমারপুর ঘাট ও গদামথুরা ঘাট । গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে বারেবারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল ঘাটগুলি সংস্কারের জন্য কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হয়নি । বাধ্য হয়ে বিপদ জেনেও নদীর চরে হেঁটে গিয়ে নৌকায় উঠতে হয় ।