গঙ্গাসাগর, 15 জানুয়ারি : মেঘলা ভোর, সাদা কুয়াশা ৷ তাও সাগর তীরে জনসমাগম ৷ গতকাল পৌষ মাসের শেষ দিন, মকরসংক্রান্তি ছিল ৷ দেশজুড়ে পালিত হয়েছে এই উৎসব ৷ আর এই বিশেষ দিনে ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গঙ্গাসাগরে এসেছেন পুণ্যর্থীরা ৷ মাহেন্দ্রক্ষণে সাগরে স্নান সেরে পুণ্য অর্জন করবেন ৷ শুক্র ও শনি, দু'দিন ধরে চলেছে এই স্নান । আজ সকালেও দেখা গেল এক দৃশ্য ৷ জলে হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে আছেন শ'য়ে শ'য়ে মানুষ ৷
এবার গঙ্গাসাগর অন্যরকম ৷ কোভিড আবহে আদালতের নির্দেশে কড়া বিধিনিষেধে হচ্ছে মেলা ৷ তাই সদা সতর্ক প্রশাসন ৷ কড়া পুলিশি নজরদারি, জলে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী আর আকাশে ড্রোন ৷ জল, স্থল, আকাশ সব দিক দিয়ে গঙ্গাসাগরের প্রতিটি মূহূর্তের উপর চোখ রাখছে সরকার ৷ কোনও ভাবে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না হয়, নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয় 2022-এর গঙ্গাসাগর মেলা ৷ মেলার প্রবেশপথে ভক্তদের স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছে ৷ সবসময় মাইকিংয়ের কোভিড নিয়ে সচেতন করা হচ্ছে ৷ ইতিমধ্যে মন্ত্রী শশী পাঁজা, মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা ইতিমধ্যে ঘুরে দেখেছেন সরকারি ব্যবস্থাপনা ৷
মেলা উদ্বোধনের পর সাগর প্রাঙ্গণে মানুষ তেমন দেখা যায়নি ৷ কিন্তু শুক্রবার বিকেল অর্থাৎ মকরসংক্রান্তির দিন থেকে ভিড় বাড়ছিল । অস্থায়ী শেডগুলি থেকে মানুষ খোলা আকাশের নিচে এসে আশ্রয় নিয়েছে । মেঘলা আবহাওয়ায় টিপ টিপ বৃষ্টি উপেক্ষা করে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর মুখে একটাই আওয়াজ, "কপিলমুনি কি জয়, গঙ্গা মাইকি জয়" ।
পুণ্যস্নানের এই বিশেষ ক্ষণ নিয়ে অন্য বছরের মতো এবছরও নানা মুনির নানা মত । কারও মতে 14 জানুয়ারি ভোর থেকে স্নান শুরু । যাই হোক, মকরস্নানের মাহেন্দ্রক্ষণে সাগরের জল স্পর্শ করতে ভারত নয়, দেশের বাইরে থেকেও বহু পুণ্যার্থী গঙ্গাসাগরে এসেছেন ৷