বাসন্তী, 4 মে : রবিবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ থাকা এক নাবালকের হাত পা বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য । মৃতের নাম সাবির হোসেন মোল্লা (9) । ঘটনাটি দক্ষিণ 24 পরগনার বাসন্তী থানার ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের নেবুখালি গাজি পাড়ার । সোমবার দুপুরে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে উদ্ধার হয় সাবিরের দেহ । ঘটনার খবর পেয়ে বাসন্তী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে । প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান খুন করা হয়েছে সাবিরকে । তবে এই ঘটনায় কে বা কারা জড়িত সেই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।
পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিল সাবির । অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনও সন্ধান পায়নি পরিবার । রবিবার সারা রাত গ্রামের লোকজন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় সাবিরের খোঁজ চালায় । সোমবার সকালেও বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি চলে । ছেলেকে না পেয়ে সাবিরের বাবা সিরাজুল মোল্লা বাসন্তী থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করতে যান । সেই সময়ই এলাকার লোকজন তাঁর বাড়ির পাশে একটি পরিত্যক্ত ঘরে হাত পা বাঁধা ও গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় সাবিরের দেহ পড়ে থাকতে দেখে । তারাই বিষয়টি থানায় ফোন করে জানায় ৷
হাত-পা বাঁধা অবস্থায় নাবালকের দেহ উদ্ধার বাসন্তীতে
রবিবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ নাবালকের হাত পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হল দেহ ৷ দক্ষিণ 24 পরগনার বাসন্তী থানার ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের নেবুখালি গাজি পাড়ার ঘটনায় পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে ৷
হাত-পা বাঁধা অবস্থায় কিশোরের দেহ উদ্ধার বাসন্তীতে
আরও পড়ুন : চাষের চাল না দেওয়ায় বাবাকে খুনের অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে
পেয়ে বাসন্তী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে । হাত, পা বাঁধার পাশাপাশি গলায় ফাঁসের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ । এছাড়াও ওই নাবালকের সারা গায়ে সূচ ফোটানোর দাগ রয়েছে ৷ যা দেখে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান খুন করা হয়েছে ওই নাবালককে । পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় ঘটনায় সাবিরের বাবা সিরাজুল প্রতিবেশী সাহাজুল ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন । পারিবারিক বিবাদের জেরেই ছেলেকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর । যদিও পুলিশ অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ৷