কাকদ্বীপ, 9 জুন: ওড়িশার বালাসোরের করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্য়ু হয়েছিল শামসুল হুদা শেখের (30) ৷ কাকদ্বীপের মধুসূদনপুর এলাকায় বাড়ি ৷ বৃহস্পতিবার ওড়িশা প্রাৃশাসনের পক্ষ থেকে একটি দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে সামসুল হুদা শেখের পরিবারের হাতে ৷ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসা হয় কাকদ্বীপ পুলিশ মর্গে । ময়নাতদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য ।
জানা গিয়েছে, যে দেহ সামসুল হুদা শেখের বলে মনে করা হয়েছিল সেটি আসলে বিহারের বাসিন্দা রজা শাহানির ৷ এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে কাকদ্বীপ পুলিশ মর্গের ডোমের কাছে। মৃতদেহের প্যান্টের পকেট থেকে উদ্ধার হয় একটি রক্তমাখা আধার কার্ড । আধার কার্ডটি পরিষ্কারের পর বোঝা যায় এই মরদেহ বিহারের বাসিন্দা রাজা শাহানির । এরপর শামসুল হুদা শেখের পরিবারের লোক প্রশাসনের দ্বারস্থ হয় ৷ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই মরদেহ আবার পুনরায় ওড়িশা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে । এছাড়াও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পরিবারের হাতে দু’লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে । শেখ পরিবার সেই আর্থিক ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত পাঠিয়েছে ।