করোনা আক্রান্তের মৃতদেহ নিয়ে এক শ্মশান থেকে অন্য শ্মশান

বিধায়কের নির্দেশে দিগম্বরপুর অঞ্চলের উপপ্রধান রবীন্দ্রনাথ বেরার সহযোগিতায় দেহ দাহ করতে পারেন কমল মণ্ডলের পরিবার ৷ উপপ্রধান নিজে দাঁড়িয়ে থেকে দক্ষিণ দুর্গাপুর নদীর চরে কমল মণ্ডলের মৃতদেহ দাহ করেন ৷

পাথরপ্রতিমা, 9 মে : ফের করোনা পরিস্থিতিতে সামনে এল অমানবিকতার ছবি ৷ করোনা আক্রান্তের দেহ নিয়ে পরিবার শ্মশানে শ্মশানে ঘুরলেও কর্তৃপক্ষের বাধায় সৎকার করা হল না ৷ অবশেষে উপ প্রধানের সহযোগিতায় নদীর তীরে সৎকার করা হল করোনা আক্রান্তের দেহ ৷

করোনা আক্রান্ত হয়ে গতকাল মারা যান ঢোলা থানার অধীনে দিগম্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম শ্রীধরপুর গ্রামের বাসিন্দা 49 বছরের কমল মন্ডল । সৎকার করার উদ্দেশ্যে প্রথমে বিষ্ণুপুর শ্মশানে দেহ নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা ৷ তবে সেখানে শ্মশান কর্তৃপক্ষ তাঁদের দেহ সৎকার করার অনুমতি দেয়নি ৷ এরপরে সেখান থেকে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ইন্দ্রামোড় শ্মশানে । সেখানেও একই ছবি ৷ সৎকার করতে বাধা দেওয়া হয় ৷ এরপর কমলের পরিবার দেহ নিয়ে যায় গুরুদাসপুর শ্মশানে ৷ অমানবিকতার ব্যতিক্রম এখানেও হয়নি ৷ সেখানেও ব্যর্থ হয়ে মৃতের পরিবার পাথর প্রতিমার বিধায়ক সমীর জানার দ্বারস্থ হন ৷

অবশেষে বিধায়কের নির্দেশে দিগম্বরপুর অঞ্চলের উপপ্রধান রবীন্দ্রনাথ বেরার সহযোগিতায় দেহ দাহ করতে পারেন কমল মণ্ডলের পরিবার ৷ উপপ্রধান নিজে দাঁড়িয়ে থেকে দক্ষিণ দুর্গাপুর নদীর চরে কমল মণ্ডলের মৃতদেহ দাহ করেন ৷