ফ্রেজারগঞ্জ, 28 মে : বুলবুল, আয়লা, আমফানের মতো ভয়ঙ্কর ঝড়ের ধাক্কা সামলে স্মৃতিটুকু টিকে ছিল ৷ যশে সেটুকুও ভেসে গেল ৷ দক্ষিণ 24 পরগনার ফ্রেজারগঞ্জের বিখ্যাত ফ্রেজার সাহেবের বাংলো তলিয়ে গেল সমুদ্র গর্ভে ৷
কলকাতার কাছে ভ্রমণে অন্যতম পছন্দের জায়গা বকখালি । বকখালির পাশেই ফ্রেজারগঞ্জ । যেখানে ঘুরতে গেলে লেফটেনেন্ট গভর্নর অ্যান্ড্রু ফ্রেজার (1903-1908) সাহেবের ঐতিহাসিক বাংলো দেখতে যেত পর্যটক ৷ এককালে এই বিলাসবহুল বাংলোতে ছিল দফতর খানা, গভর্নর সাহেবের থাকার জন্য দুটি শয়ন কক্ষ, একটি পানশালা, সংগ্রহশালা ও গ্রন্থাগার । সময় ও প্রকৃতির ঝাপটা সামলে যার অংশ বিশেষ কয়েকটা ভাঙা পিলার টিকে ছিল । কিন্তু এবারের ঘূর্ণিঝড়ে রুদ্ররূপ ধারণ করে সমুদ্র ৷ ফলে অতিরিক্ত জলোচ্ছ্বাসে সমুদ্রগর্ভে মিলিয়ে গেল সেটুকুও ৷ বঙ্গোপসাগরের তীরে স্থায়ী বাঁধ না থাকাতেই ঐতিহাসিক প্রাসাদ ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেল, অভিযোগ স্থানীয়দের ।
তবে যশে শুধু ইংরেজ সাহেবের বিখ্যাত বাংলোই বিলিন হয়নি, এইসঙ্গে ঝড়ের দাপটে জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত ফ্রেজারগঞ্জের বেশ কয়েকটি গ্রাম । একদিকে ঘূর্ণিঝড় যশ, অন্যদিকে পূর্ণিমার ভরা কোটালে গত বুধবার সুন্দরবনের নদী-সমুদ্রে ব্যাপক জলস্ফীতি হয় ৷ বাঁধ উপচে নোনা জলে প্লাবিত হয়েছে নামখানার ফ্রেজারগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষ্মীপুর, অমরাবতী, হাতি কর্নার, দাস কর্নার এলাকা ৷