বাসন্তী, 5 জুলাই:খুন, বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট যেন লেগেই রয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যেন দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে দক্ষিণ 24 পরগনা। দেদার চলছে বোমা, সন্ত্রাস ৷ পুলিশ যেন কাঠের পুতুল। মঙ্গলবার রাতে গ্রামে ঢুকে সাধারণ মানুষের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এমনই ঘটনা ঘটেছে বাসন্তীর কাঁঠালবেরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের খেরিয়া উত্তর ভাঙনখালি গ্রামে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকালেও আতঙ্কের ছবি যেন গ্রাস করেছে গ্রামকে। সাধারণ মানুষ ভীত ও সন্ত্রস্ত।
পঞ্চায়েত নির্বাচন অবাধ শান্তিপূর্ণ হবে তা মোটেই মানতে চাইছেন না সাধারণ এলাকাবাসীরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মঙ্গলবার গভীর রাতে একদল দুষ্কৃতী গ্রামে ঢুকে এলোপাতাড়ি গ্রামবাসীদের বাড়ির লক্ষ্য করে বোমা ছুড়তে থাকে। যদিও আজকের ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দুষ্কৃতীরা গ্রামে কেন বোমাবাজি করেছে তার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। যদিও পুরো বিষয় নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ। তবে পুলিশ এলেও মানুষের চোখে মুখে এখনও আতঙ্কে ছবি ধরা পড়ছে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ 24 পরগনার বিভিন্ন এলাকা মঙ্গলবার শাসক-বিরোধী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দক্ষিণ 24 পরগনার 117 নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে কর্মী-সমর্থকদের দেখে কটূক্তি করে তৃণমূলের লোকজন। এরপর শুরু হয় বচসা ৷ যা পরবর্তীতে হাতাহাতির আকার নেয়। মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় দক্ষিণ 24 পরগনা হটুগঞ্জ। একে অপরের বিরুদ্ধে বোমাবাজি করার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উস্থি ও কুলপি থানার পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে ৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মন্দির বাজারের এসডিপিও। আইএসএফ-তৃণমূলের সংঘর্ষ 117 নম্বর জাতীয় সড়ক কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। উভয়দলের কর্মীরা একে অপরকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকে। রণক্ষেত্র পরিস্থিতি দেখে এলাকায় সমস্ত দোকান বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা ৷ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পথ চলতি সাধারণ মানুষও। তবে কি অবাধ শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে ব্যর্থ হবে রাজ্যের নির্বাচন কমিশন, এটাই এখন বড় প্রশ্ন?
আরও পড়ন:পর্যবেক্ষকদের তালিকা প্রকাশ নির্বাচন কমিশনের, কোন জেলায় কত বাহিনী ?