বারুইপুর, 8 নভেম্বর: দেবীর পীঠস্থান এই বঙ্গে বহু স্থানে রয়েছে। বলা যেতে পারে, এই বঙ্গদেশের মাহাত্ম্যই দেবীপীঠের জন্য। এছাড়া অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থান তো আছেই। বঙ্গদেশের মধ্যে কলকাতা হল কালীক্ষেত্র। তিলোত্তমার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আরও বহু প্রাচীন কালীমন্দিরের ইতিহাস। কালীঘাটের কালী কলকাতার অধীশ্বরী হলেও অন্যান্য মন্দিরের দেবী কালীকা কলকাতার ইতিহাসকে আরও সমৃদ্ধ করে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বারুইপুরে রয়েছে দেবী কালীকার এমনই এক পীঠস্থান যা শিবানীপীঠ নামে পরিচিত। এই পীঠস্থান প্রতিষ্ঠা করেন সেই অঞ্চলের ভট্টাচার্যবাড়ির পূর্বপুরুষরা, যা আজ এক অতি মাহাত্ম্যপূর্ণ স্থান হিসাবে পরিচিত।
এর ইতিহাস আলোচনা করলে দেখা যায়, 1300 বঙ্গাব্দ নাগাদ বারুইপুর অঞ্চলের জমিদার রমেন্দ্র রায় চৌধুরী তাঁদের বংশের কুলদেবতার সেবার জন্য ব্রাহ্মণ নিয়ে আসেন লক্ষ্মীকান্তপুরের গোকর্ণি থেকে। তাঁরা ছিলেন ভট্টাচার্য ৷ সেই ব্রাহ্মণদের তিনি তাঁর জমিদারিতে বসবাসের ব্যবস্থা করে দেন। সেই থেকে এই অঞ্চলে একটি পাড়ার নাম হয় 'ভট্টাচার্য পাড়া', সেখানেই ভট্টাচার্য ব্রাহ্মণরা থাকতে শুরু করেন। ব্রাহ্মণ হওয়ার সুবাদে তাঁরা নিজেদের বাড়িতেই শুরু করেন দুর্গাপুজো। পরবর্তীকালে ভট্টাচার্যবাড়ির ছেলে অক্ষয় কুমার ভট্টাচার্য 1939 খ্রিস্টাব্দে নির্মাণ করেন 'অক্ষয়কুঞ্জ' ৷ সেই বাড়িতেই তিনি শুরু করেন দুর্গাপুজো। এই পুজো আজও নিষ্ঠার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়।
কিন্তু কালীপুজো পুজো শুরুর ইতিহাস কী?