ঢোলাহাট, 30 মার্চ : মোদির আগে মমতা এনআরসি নিয়ে চিৎকার করেছিলেন ৷ 2005 সালে এনআরসি করতে হবে বলে দাবি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ ঢোলাহাটের সভা থেকে সিএএ-এনআরসি নিয়ে এভাবে তৃণমূল নেত্রীকে বিঁধলেন আইএসএফ প্রধান আব্বাস সিদ্দিকী ৷
তিনি বলেন, "আজ অসমের কথা একটু ভাবুন ৷ এনআরসির নামে ক্যাম্পে ভরে দিচ্ছে । আর এই মমতা ক্যাম্পের জন্য জমি দিয়েছে । 2005 সালে সর্বপ্রথম এনআরসি করতে হবে বলে মোদির আগে চিৎকার করেছিলেন মমতা ।" শুধু তাই নয়, মমতার পায়ের চোটকে নাটক বলেছেন আব্বাস ৷ তাঁর কথায়, বলছে পায়ে লেগেছে ৷ পাক্কা মিথ্যা কথা । বাংলার মানুষকে এভাবে ধোকা দিয়ে প্রতারণা করে 10 বছর কাটিয়ে দিলেন । কেউ মমতার বিরুদ্ধে কথা বললে গাঁজা কেসে জেলে ভরে দিত ৷ ঘর ভেঙে তাড়িয়ে দিত । আমি মমতার বিরুদ্ধে কথা বলেছিলাম বলে বাড়িতে কয়েক হাজার পুলিশ পাঠিয়েছিল ৷ তাও জব্দ করতে পারেনি । তোমার ধান্দাগিরি আর চলবে না ।"
আরও পড়ুন : "মমতার মুসলিম তোষণেই বঙ্গে এসেছে বিজেপি", নন্দীগ্রামে বিস্ফোরক আব্বাস
ঢোলাহাটের সভা থেকে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তোপ দাগেন আব্বাস । বলেন, "তৃণমূলে ভোট দিলে গিয়ে পড়বে বিজেপিতে । আর বিজেপিকে ভোট দিলে তৃণমূলের হাতকেই শক্ত করা হবে ৷ কংগ্রেসকে ফেলে বিজেপি সরকার বানিয়েছিল এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । হঠাৎ করে বলল, মহরমের দিন দুর্গাপুজো বন্ধ থাকবে । হাজার হাজার বছর ধরে কোনওদিন মহরম আর দুর্গাপুজো নিয়ে অসুবিধা হয়নি । এগুলো করে হিন্দু ও মুসলামানের মধ্যে বিভাজন তৈরি করেছেন মমতা । তাও পারেননি ।" তিনি আরও বলেন, "পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধী শূন্যের নামে বাম কংগ্রেসকে নমিনেশন জমা দিতে দেননি । কিন্তু বিজেপি জমা দিল ৷ তৃণমূল জমা দিল । তাই 2019-এ 18টা সিট পেল বিজেপি । 18 হাজার কোটি টাকা লেনদেনও করেছিল তার জন্য ।"
মোদির আগে এনআরসির দাবি করেছিলেন মমতা আগেই আব্বাসের দলকে সাম্প্রদায়িক বলে অভিযোগ করেছিল তৃণমূল । সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে আব্বাস বলেন, "রাজনীতি কখনও সাম্প্রদায়িক হয় না । রাজনীতি রাষ্ট্র সেবা, রাষ্ট্রবাসীর সেবার নাম ।" 'খেলা হবে' স্লোগান নিয়েও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাতা । তিনি কড়া ভাষায় বলেন, "রাজনীতিটা কি খেলা ! রাষ্ট্রসেবা কি খেলা ! সংবিধান বাঁচানোটা কি খেলা ! দেশের নাগরিকরা কীভাবে উন্নত হবে এর নাম খেলা ! মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে বলছে খেলা হবে । খেলা নয় আমাদের চাকরি চাই । নিরাপত্তা চাই ।"