বাসন্তী, 27 অক্টোবর:শুধুমাত্র বিজেপি করার 'অপরাধে' এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধরের (Attack on BJP Leader) অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা ও কর্মীদের বিরুদ্ধে ৷ ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ 24 পরগনার বাসন্তী (Basanti) এলাকায় ৷ আক্রান্ত ওই বিজেপি নেতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ তাঁর নাম অমল মণ্ডল ৷ তাঁর পেটে ও বুকে গুরুতর চোট লেগেছে বলে দাবি পরিবারের ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসন্তীতে বিজেপি-এর 4 নম্বর মণ্ডলের সহসভাপতি হলেন এই অমল মণ্ডল ৷ বুধবার তাঁর উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ ৷ ঘটনাটি ঘটে বাসন্তী বিধানসভা এলাকার ঝড়খালি কোস্টাল থানার অন্তর্গত ঝড়খালি বাজার এলাকায় ৷ অমল মণ্ডল এই এলাকারই ঝড়খালি পার্বতীপুরের বাসিন্দা ৷ তাঁর স্ত্রী সর্বাণী মণ্ডল জানিয়েছেন, একুশের বিধানসভা ভোটের সময় থেকেই বিজেপি-এর হয়ে কাজ করছিলেন তাঁরা ৷ সেই ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই তাঁদের উপর লাগাতার আক্রমণ করা হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন:বাড়িতে ঢুকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে হামলা ! মালদায় আক্রান্ত বিজেপি নেত্রী
সর্বাণী জানিয়েছেন, তাঁদের জমি, দোকান-সহ বাদবাকি সমস্ত সম্পত্তি কেড়ে নিয়েছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা ৷ ভোটের পর মারের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান মণ্ডল পরিবারের সদস্যরা ৷ সেই বাড়ি অবশ্য এখনও তাঁদের দখলে রয়েছে ৷ আর ছিল একটি মোটরবাইক ৷ দীর্ঘদিন পর সম্প্রতি বাড়িতে ফেরেন অমল, সর্বাণীরা ৷ অভিযোগ, সেই খবর কানে যেতেই ফের অত্যাচার শুরু করেছেন এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা ও তাঁদের অনুগামীরা ৷ সর্বাণীর দাবি, বুধবার তাঁর স্বামীর মোটরবাইকটি কেড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ও কর্মীরা ৷ সেই সময় অমল তাঁদের বাধা দেন ৷ তারপরই 50 থেকে 60 জনের একটি দল হামলা চালায় ৷ অমলকে লাঠি, রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় ৷
চিৎকার চেঁচামেচিতে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়ে গেলে অভিযুক্তরা অমলকে রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যান ৷ গুরুতর আহত অবস্থায় ওই বিজেপি নেতাকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ সেখানে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা হয় ৷ কিন্তু, পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয় ৷ ইতিমধ্যেই পুলিশকে গোটা ঘটনা জানানো হয়েছে ৷ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, পুলিশ যদি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ না করে, তাহলে আগামী দিনে রাস্তা আটকে আন্দোলনে নামবেন দলীয় সদস্যরা ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় বিধায়ক অবশ্য মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৷ তাঁর দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে রাজ্যের শাসকদলের কোনও সম্পর্ক নেই ৷