জয়নগর, 10 সেপ্টেম্বর: নীল আকাশে শরতের সাদা মেঘের 'পেঁজা তুলো'র ভেলা ! বাতাসে শিউলি, ছাতিমের মন ভালো করা গন্ধ ৷ পুজোর আমেজে (Durga Puja 2022) চাঙ্গা আপামর বাঙালি ৷ এতটা না হলেও খুশি দক্ষিণ 24 পরগনার (South 24 Parganas) জয়নগরের (Jaynagar) ঢাকিপাড়ার (Dhaki Para) বাসিন্দারাও ৷ করোনার আগে পর্যন্ত প্রতি বছর পুজোর আগে ব্যস্ততা বাড়ত এই পাড়ার বাসিন্দাদের ৷ পুজোর বরাত নিয়ে কলকাতায় যেতেন এখানকার ঢাকিরা ৷ তাতে দু'টো বাড়তি টাকা ঘরে আসত ৷ তা দিয়ে কদিনের জন্য হলেও সংসারের টানাটানি কিছুটা কমত ৷ কিন্তু, গত দু'বছর সেই অবলম্বনটুকুও কেড়ে নিয়েছিল ভয়াল অতিমারি ৷ তবে, এবার হয়তো কপাল ফিরবে ৷ তাই, আশায় বুক বাঁধছেন বংশী, মুরারীরা ৷
সাংবাদিক পরিচয় পেতেই ইটিভি ভারতের প্রতিনিধির কাছে এসে 'গল্পের' ঝাঁপি খুলে বসেন এলাকার বাসিন্দারা ৷ বংশী দাস, মুরারী দাস তাঁদেরই প্রতিনিধি ৷ কথায় কথায় জানালেন, সারা বছর চাষবাস করেন তাঁরা ৷ তবে, বড় কৃষক বলতে যা বোঝায়, তাঁরা তা নন ৷ আদতে চাষের কাজে যেটুকু উপার্জন হয়, তাতে সারা বছরের খোরাকি জোটানোই বড় চ্য়ালেঞ্জ ৷ তবে, বাপ-ঠাকুর্দার কাছ থেকে ঢাক বানাতে এবং বাজাতে শিখেছিলেন ৷ পুজোর মরশুম শুরু হলে কলকাতা থেকে ডাক আসে ৷ পুজোমণ্ডপে দু'বেলার খাবার জুটে যায় ৷ আর মেলে ঢাক বাজানোর পারিশ্রমিক ৷ এমনকী, পুজো শেষে বাবুদের বাড়ি থেকে পুরনো পোশাক, চাদর এসবও পাওয়া যায় ৷ সব মিলিয়ে আমদানি মন্দ হয় না ! আসলে হতদরিদ্র এই মানুষগুলোর কাছে এই পাওয়াটুকুই যেন যকের ধন !