সুন্দরবন, 21 মে : আমফানের কথা মাথায় রেখে 1 হাজারের বেশি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছিল দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা প্রশাসনের তরফে । সেই শিবিরে প্রায় 3 লাখ মানুষকে এনে রাখা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে ।
গতকাল জেলাশাসক ডক্টর পি উলগানাথন জানান, " কারো জীবনহানি যাতে না হয় সেদিকে নজর রাখছে প্রশাসন । অন্যদিকে, কোরোনার কথা মাথায় রেখে সবাইকে মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজা়র দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে । জেলাজুড়ে 1 হাজারের বেশি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে । শিবিরে রান্না ও খাবারের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন । এছাড়াও ঝড়ের তীব্রতার কথা মাথায় রেখে আগে থেকেই NDRF এর কর্মীদের বিভিন্ন দ্বীপে পোস্টিং করা হয়েছিল ।"
পাশাপাশি আমফান মোকাবিলায় জেলাশাসক নিজে সমস্ত জনপ্রতিনিধির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন । তিনি জানিয়েছেন, গতকাল সকাল থেকেই জনপ্রতিনিধিরা মানুষের পাশে রয়েছেন । যেখানে মানুষ সমস্যায় পড়েছেন সঙ্গে সঙ্গে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । এর সঙ্গে কাকদ্বীপ পুলিশ এবং জেলাশাসকের যৌথ উদ্যোগে কন্ট্রোল রুম খুলে সেখান থেকে পুরো জেলাকে মনিটরিং করছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা ।
আবহাওয়া দপ্তর বলছে, শেষ দশ বছরে এমন ঘূর্ণিঝড় দেখেনি বাংলা । একসময় সুন্দরবন দেখেছিল আয়লা । তার দাগ এখনও শুকোয়নি । আর এবার দেখল আমফানের দাপট । এই আশঙ্কার মধ্যেই গতকাল সুন্দরবনে আছড়ে পড়ে আমফান । ভেঙে গেছে বহু কাঁচাবাড়ি, কোথাওবা উড়ে গেছে টিনের চাল । উপড়ে পড়েছে একাধিক বড় বড় গাছ । গাছ পড়ে 117 নম্বর জাতীয় সড়কে বন্ধ যান চলাচল । উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি, সঙ্গে ভেঙে গিয়েছে কাকদ্বীপ জেটি । সুন্দরবনের একাধিক এলাকা যেমন সাগর, বকখালি, মৌসুনি প্রত্যেক জায়গার অবস্থা খুবই খারাপ ।