সাগর, 16 জুলাই: একদিকে গুরু পূর্ণিমার ভরা কোটাল ৷ তার সঙ্গেই হু হু করে বইছে পূবালি বাতাস ৷ উত্তাল বঙ্গোপসাগর । একের পর এক দৈত্যাকার ঢেউ আছড়ে পড়ছে পাড়ে। জোয়ারের জলে জলমগ্ন হয়েছে সাগরের কপিলমুনি মন্দির চত্বর । সুন্দরবনের উপকূলে একের পর এক নদী বাঁধ উপছে পড়ছে জল ৷ যার ফলে প্লাবিত হয়েছে একাধিক এলাকা। এমনকী নোনা জল প্রবেশ করেছে চাষের জমিতেও। স্বভাবতই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসীরা ।
সাগরদ্বীপের বঙ্কিমনগরেও নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে একাধিক চাষের জমি ৷ গ্রামে প্রবেশ করছে নোনা জল ৷ যার ফলে আতঙ্কে ঘর ছাড়া বহু গ্রামবাসী । সাগরের ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির ।
জলমগ্ন হয়েছে সাগরের কপিলমুনি মন্দির চত্বর সুন্দরবনের উপকূলে একের পর এক নদী বাঁধে উপচে পড়ছে জল বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকার কারণে ইতিমধ্যেই গঙ্গাসাগরে পর্যটকদের সমুদ্র স্নানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ব্লক প্রশাসন । শনিবার সকাল থেকেই প্রশাসনের আধিকারিকেরা মাইকিং-এর মাধ্যমে পর্যটকদের সতর্ক করার কাজ চালাচ্ছে । একই ছবি ধরা পড়েছে নামখানার বকখালিতেও । ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটকদের সতর্ক করার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে (Administration directs Ban on Sea Bathing at Gangasagar) ।
পর্যটকদের সমুদ্রে নামাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল আরও পড়ুন:পূর্ণিমার ভরা কটালে নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা
প্রশাসনের আধিকারকরা মাইকিং-এর মাধ্যমে পর্যটকদের সতর্ক করছেন সাগরের বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল বলেন, "পূর্ণিমার কোটাল ও সঙ্গে পূবালি বাতাসের জেরে সমুদ্র উত্তাল হয়ে পড়েছে । দুর্ঘটনা এড়াতেই পর্যটকদের সমুদ্র স্নানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে । সাগরের বেশ কিছু জায়গায় নদী বাঁধ ভেঙে কিংবা নদী বাঁধ উপচে এলাকায় জল ঢুকেছে । ব্লক প্রশাসন ত্রাণ শিবিরও খুলেছে । ইতিমধ্যে যুদ্ধকালীন বাঁধ সংস্কার এবং মেরামতির কাজ চালানো হচ্ছে । সমস্ত পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ব্লক প্রশাসন ৷ প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে ।"