যুবতীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য সোনারপুরে সোনারপুর, 4 অগস্ট: নির্মীয়মাণ বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে যুবতীর বিবস্ত্র দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ৷ আজ সকালে দেহটি উদ্ধার হয়েছে দক্ষিণ 24 পরগনার সোনারপুর থানা এলাকার কুস্তিয়ায় ৷ এ দিন সকালে স্থানীয় কয়েকটি বাচ্চা ওই নির্মীয়মাণ বাড়িতে প্রথম যুবতীর দেহ দেখতে পায় ৷ পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ৷ তবে মৃত যুবতীর পরিচয় এখনও জানা যায়নি ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ ৷
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আজ সকালে এলাকার কয়েকটি বাচ্চা ওই নির্মীয়মাণ বাড়ির সামনে খেলছিল ৷ কিন্তু, ভিতর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে, তারা বাড়ির পিছনের দিকে সেপটিক ট্যাংকের কাছে যায় ৷ তার ভিতরেই যুবতীর দেহ জলে ভেসে থাকতে দেখে তারা ৷ সেই সঙ্গে প্রচুর মাছিও উড়ছিল ৷ ওই বাচ্চারাই বাড়িতে গিয়ে খবর দেয় ৷ এর পর স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে যান এবং সেপটিক ট্যাংকে ভাসমান দেহ দেখেন ৷ খবর দেওয়া হয় পুলিশে ৷ পুলিশ সেখান গিয়ে দেহটি উদ্ধার করেছে ৷ জানা গিয়েছে, যুবতীর বেশ কয়েকদিন আগে মৃত্যু হয়েছে ৷ কারণ, তাঁর দেহে ইতিমধ্যে পচন ধরেছে ৷
কিন্তু, কে এই যুবতী ? কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল ? এই প্রশ্নের কোনও জবাব পাওয়া যায়নি ৷ স্থানীয়রা যুবতীকে চিনতে পারেননি ৷ তবে, এই ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠছে ৷ পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য সেপটিক ট্যাকের ভিতর দেহ লুকানো হয়েছিল ৷ তাঁর সঙ্গে মৃত্যুর আগে ধর্ষণের মতো অপরাধ ঘটেছিল কিনা, তার জন্য ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করতে হবে ৷ সেই রিপোর্টেই একমাত্র মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে ৷ পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে ৷
আরও পড়ুন:ইএসআই হাসপাতালে কর্মীর দেহ উদ্ধার, স্ত্রীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ
তবে, যুবতীকে ওই নির্মীয়মাণ বাড়িতে হত্যা করা হয়েছিল ? নাকি, বাইরে কোথাও খুন করে, দেহ সেখানে লোপাট করা হয়েছে ? এমন একাধিক বিষয়ের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা ৷ পুলিশ ঘটনাস্থলটি এবং ওই নির্মীয়মাণ বাড়িটি সিল করে দিয়েছে ৷ সেখানে কারও প্রবেশ নিষেধ ৷ অন্যদিকে বর্ষাকাল হওয়া অনেক প্রমাণ নষ্ট হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ তাই নির্মীয়মাণ বাড়ির মালিক এবং আশেপাশের লোকজনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ৷