অ্যাসিডের বোতল নিয়ে খেলতে গিয়ে গুরুতর জখম 6 শিশু ক্যানিং, 13 জুলাই: গায়ে অ্যাসিড পড়ে জখম স্কুলের 6 শিশু ৷ দক্ষিণ 24 পরগনার 6 নম্বর সোনাখালি প্রাথমিক স্কুলের ঘটনা ৷ বৃহস্পতিবার স্কুলের ভিতর কার্বলিক অ্যাসিড গায়ে পড়তেই ওই 6 শিশু জখম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন শিশুদের অভিভাবকরা ৷ চিকিৎসার জন্য শিশুদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে।
অভিভাবকরা জানিয়েছেন, ভোটের জন্য বন্ধ ছিল স্কুল। সেখানে ভোটকর্মীরা ছিলেন। এদিকে ভরা বর্ষায় এলাকায় বড্ড পোকামাকড়। ভোটকর্মীরা যাতে বিপদে না-পড়েন, তার জন্য বোতল ভরে কার্বলিক অ্যাসিড রাখা হয়েছিল স্কুলের ভিতরে ৷ বৃহস্পতিবার সেই অ্যাসিডের বোতলকে জল ভেবে এক ছাত্র অন্যজনের গায়ে ছুড়ে মারে। এরপরই ঘটে বিপত্তি। হাতে, মুখে, ছিটকে পড়ে অ্যাসিড ৷ তাতেই চামড়া পুড়ে গিয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের ৷
রাজ প্রামাণিক নামে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রের কথায়, স্কুলে বস্তার পাশে বোতল রাখা ছিল। একজন বোতল ছুড়ে দেয়। তাতেই পুড়ে গিয়েছে। আরেক ছাত্রীর মুখ পুরো পুড়ে গিয়েছে। ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন ছাত্রীর বাবা ৷ তিনি অভিযোগ করে বলেন, "ভোট শেষ হতেই স্কুলে বাচ্চাদের নিয়ে এসেছে। একবার স্কুলটা পরিষ্কার করিয়ে নিতে পারত। কত কিছুই তো পড়ে থাকতে পারে। বিপদ তো আরও বড় হতে পারত। বাচ্চারা খেলার সময় ওই বোতল একজন অপরজনের দিকে ছুড়ে দেয়। কোনওভাবে বোতলের ঢাকনা খুলে কারও হাতে, কারও মুখে, কারও পায়ে পড়ে কার্বলিক অ্যাসিড।"
আরও পড়ুন: কুলটির আলডিতে আবারও রাস্তায় ফাটল, নেপথ্যে বেআইনি কয়লা খনন ?
অভিভাবকরা আরও অভিযোগ করে জানিয়েছেন যে, গায়ে অ্যাসিড লেগে তিনজন শিশু গুরুতর জখম হয় ৷ তাদের একা ছেড়ে দেন শিক্ষকরা। তারা হেঁটে আগে ডাক্তারের কাছে যায়। পিছু পিছু শিক্ষকরা যান। অথচ একটা টোটো বা বাইকে করে ওদের নিয়ে আসতেই পারতেন শিক্ষকরা। ভোটের পর বৃহস্পতিবারই প্রথম স্কুল খোলে। সকাল থেকেই দল বেধে বাচ্চারা স্কুলে আসতে শুরু করে। এলাকাবাসীদের দাবি, শিক্ষক-শিক্ষিকারা ঠিকমতো স্কুল পরিষ্কার না করেই পড়াশোনা চালু করে দিয়েছে ৷ তাঁদের গাফিলতির জন্যই এই পরিস্থিতি শিশুদের ৷