সুন্দরবন, 3 জুন:কাঁচের জানালা ভেঙে ট্রেনের ছাদে উঠে বালাসোর ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণে বাঁচলেন সুন্দরবনের 12 জন বাসিন্দা ৷ তাঁরা সকলে ছিলেন অপরদিক থেকে আসা হাওড়াগামী (বেঙ্গালুরু থেকে ফেরা) যশবন্তপুর এক্সপ্রেসে ৷ শালিমার থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে লাইনচ্যুত হলে পাশের লাইনে তার কয়েকটি কামরা ছিটকে যায় ৷ উলটোদিক থেকে আসা যশবন্তপুর এক্সপ্রেস করমণ্ডলের লাইনচ্যুত বগিগুলির সঙ্গে সংঘর্ষে বেলাইন হয় যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের কয়েকটি কামরা ৷ সেই ট্রেনেই ছিলেন তামিলনাড়ু থেকে ওঠা ওই 12 জন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ৷ চোখের সামনে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা । চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আহতরা । বহু যাত্রী আশংকাজনক অবস্থায় বাঁচার জন্য চিৎকার করছে । সেই দৃশ্য এখনও ভুলতে পারছেন না ভাগ্যের জোরে বেঁচে ফেরা ওইসব যাত্রীরা ৷
শুক্রবার ওড়িশার বালাসোরে ভয়ানক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে দু'টি এক্সপ্রেস ট্রেন । ওই ঘটনায় রাত পেরিয়ে সকাল হলেও এখনও উদ্ধারকাজ চলছে ৷ মৃতের সংখ্যা বেড়ে আড়াইশো ছুঁই ছুঁই ৷ আহতের 900 জনেরও বেশি ৷ আশংকাজনক বহু যাত্রী । দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই ট্রেনেই ছিলেন সুন্দরবনের পাঠানখালি বিপ্রদাসপুর ও শম্ভু নগরের আদিবাসী পরিবারের 12 জন সদস্য ৷ কোনওরকমে প্রাণ বেঁচে বাড়ি ফিরেছেন তাঁরা । এদের মধ্যে গুরুতর আহত হননি কেউই ৷ অল্প বিস্তর আঘাত পেয়ে সশরীরে বাড়ি ফিরে নিজেদের ভাগ্যবান মনে করছেন আদিবাসী পরিবারের সদস্যরা ।
আরও পড়ুন:করমণ্ডলে এক্সপ্রেসে ছিলেন 4 সদস্য, আশঙ্কায় গোসাবার পরিবার