কোচবিহার, 19 নভেম্বর:উত্তরদিনাজপুর ও মুর্শিদাবাদের দুই নাবালিকাকে কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা যৌনপল্লি থেকে উদ্ধার করল পুলিশ ৷ গ্রেফতার এক মহিলা-সহ ধৃত তিন (Two Minors Rescued from Changrabandha)।
দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে যৌনপল্লিতে নাবালিকা বা কম বয়সীদের নিয়ে এসে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করানোর অভিযোগ উঠে আসছে একাধিকবার । এবার কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা যৌনপল্লিতে সেই ঘটনা ঘটল । বৃহস্পতিবার, গোপনসূত্রে খবর পেয়ে মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ অভিযান চালায় চ্যাংড়াবান্ধা যৌনপল্লিতে । পুলিশের হাতে গোপন তথ্য ছিল যে, দুই নাবালিকাকে চ্যাংড়াবান্ধা যৌনপল্লিতে দেহ ব্যবসায় জড়িয়ে দেওয়ার জন্য বাধ্য করানো হচ্ছে । ভিন জেলা থেকে তাঁদেরকে নিয়ে আসা হয়েছে । অভিযান চালিয়ে পুলিশ চ্যাংড়াবান্ধা যৌনপল্লি থেকে উদ্ধার করে 2 জন নাবালিকাকে ।
চ্যাংড়াবান্ধা যৌনপল্লির বাসিন্দা অশোক রায় এবং মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা অভিযুক্ত এক মহিলা মনোরমা বিবি ও উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা রফিক খানকে এই এলাকা থেকে ঘটনায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ । উদ্ধার হওয়া দুই নাবালিকার একজনের বাড়ি মুর্শিদাবাদ ও একজনের বাড়ি উত্তর দিনাজপুরে ।
আরও পড়ুন:যৌনপল্লি অতীত, আজ তিনি মানবাধিকার কমিশনের সদস্য, কী করতে চান নাসিমা ?
পুলিশের অনুমান, মনদ্দিন নামে এক অভিযুক্ত গা ঢাকা দিয়েছে । তার খোঁজে সন্ধান চলছে । মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুরের ওই দুই নাবালিকাকে মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা রফিক খান এবং মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা মনোরমা বিবি দুইজনেই নাবালিকাদের চ্যাংড়াবান্ধা যৌনপল্লিতে নিয়ে এসেছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা । সেখানে তাঁদেরকে দেহ ব্যবসায় জড়িয়ে দেওয়ার কথা ছিল । কিন্তু পুলিশের অভিযানে তা সম্ভব করতে পারেনি যৌন ব্যবসা ও অবৈধ চক্রে যুক্তরা । পুলিশের জালে আটকে যায় । শুক্রবার এই বিষয় নিয়ে কোচবিহার জেলা (মাথাভাঙা ডিভিশন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা জানিয়েছেন, 2 জন নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়েছে । গ্রেফতার করা হয়েছে তিনজনকে । উদ্ধার হওয়া নাবালিকাদের আপাতত হোমে রাখা হবে ৷ পরিবারে খোঁজ নেওয়া হয়েছে ।