কোচবিহার, 26 জুন : বিজেপির দাবির সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএলও-র দাবি মিলে যাচ্ছে । তাহলে তারাই কি একে অপরের হয়ে কাজ করছে ? শনিবার কোচবিহারে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই প্রশ্ন তুলল কোচবিহার জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব । এদিন তৃণমূলের সমস্ত ব্লক সভাপতিদের সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ করে, বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি সংগঠন কেএলও যে দাবি তুলছে, উত্তরবঙ্গের বিজেপি নেতারা সেই একই দাবি তুলছেন । তাহলে তারা কি একে অপরের হয়ে কাজ করছে ?
জানা গিয়েছে, পৃথক কামতাপুর রাজ্যের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন চালিয়ে আসছে কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন (কেএলও) । বাম আমলে এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা উত্তরবঙ্গ । পরবর্তীতে অপারেশন ফ্ল্যাশ আউটের ফলে সেই আন্দোলন স্তিমিত হয়ে যায় । দীর্ঘদিন চুপ থাকার পর সম্প্রতি কেএলও-র তরফে মায়ানমার থেকে একাধিক ভিডিয়ো প্রকাশ করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে ।
আরও পড়ুন :আরএসএস-এর আদর্শে অনুপ্রাণিত হতে শুভেন্দু-সৌমিত্র-অর্জুনদের বিশেষ পাঠ
দিনকয়েক আগে উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য কিংবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি তুলেছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপির সাংসদ জন বারলা । এই দাবির বিরোধিতা করেছেন তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় । আর এরপরই কেএলও-র তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় এবং প্রাক্তন মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকে হুমকি দেওয়া হয় । এই ঘটনায় ইতিমধ্যে কোচবিহারে বিভিন্ন থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে । পাশাপাশি চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ।
এরপরই শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে প্রশ্ন তোলা হয়, তা হলে কি কেএলও-র হয়ে কাজ করছে বিজেপি নেতৃত্ব ? তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সাধারণ সম্পাদক রাহুল রায় বলেন, ‘‘কেএলও সুপ্রিমো জীবন সিংয়ের মুখে যে কথা শোনা যাচ্ছে, সে কথা বিজেপি নেতৃত্বের মুখে শোনা যাচ্ছে । বাম আমলে উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত থাকলেও গত 10 বছরে উত্তরবঙ্গে রাজবংশীদের উন্নয়নে অনেক কাজ হয়েছে । বরঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকার উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে কোনও কাজ করেনি । এখন বিভেদ সৃষ্টি করছে ।’’
আরও পড়ুন :দলত্যাগ থেকে একাধিক ইস্যুতে নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপিকে নিশানা সুজনের