কোচবিহার, 22 মে : ভারত থেকে ভিন দেশে গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারির পরে সমস্যায় পড়েছে কোচবিহারের চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তের ব্যবসায়ীরা (traders facing problem on wheat export ban) ৷ চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে গম রফতানি করার জন্য যে ট্রাক যায় সেগুলি এখনও আটকে ৷ যার কারণে গম নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ।
বাণিজ্যমন্ত্রকের বিশেষ অনুমতি না আসায় ওই গম রফতানি করা যাচ্ছে না । প্রায় 20 হাজার মেট্রিক টন গম সীমান্তে রফতানির অপেক্ষায় আটকে থাকতে নষ্ট হওয়ারও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে । গম রফতানির ক্ষেত্রে দিনকয়েক আগেই কেন্দ্রের তরফে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে ৷ কেন্দ্র জানায়, 13 মে-র মধ্যে যাঁরা গম রফতানির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে গিয়েছেন, ওই তারিখের মধ্যে লেটার অফ ক্রেডিট, রেমিটেন্সে ইত্যাদি যাঁদের তৈরি হয়ে গিয়েছে, তাঁরা গম বাংলাদেশে পাঠাতে পারবেন । তবে ওই নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে যত পরিমাণ গম রফতানির অনুমতি রয়েছে, ততটুকুই পাঠানো যাবে ।
কিন্তু পরে ফের কেন্দ্রের তরফে আরও একটি নির্দেশিকায় বলা হয়, নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে এলসি, রেমিটেন্স থাকলেও রফতানির জন্য বাণিজ্যমন্ত্রকের থেকে বিশেষ অনুমতি নিতে হবে । এবার সেই অনুযায়ী আবেদন করেছিলেন চ্যাংরাবান্ধার সীমান্তের ব্যবসায়ীরা । কিন্তু আবেদনের এক সপ্তাহ পরেও বাংলাদেশ থেকে গম পাঠানোর অনুমতি না আসায় চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন ভারতীয় গম ব্যবসায়ীরা ।
আরও পড়ুন : India Bans Wheat Export : দেশে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে গম রফতানি বন্ধ করল ভারত
কোচবিহারের চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্টাসের সম্পাদক ইদু সদাগর জানিয়েছেন, বাংলাদেশ গম রফতানির জন্য সরকারি নির্দেশের ভিত্তিতে ফের সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করেছেন ব্যবসায়ীরা। সেখান থেকে অনুমতি না আসায় রফতানি বন্ধ হয়ে রয়েছে। আটকে রয়েছে বহু ট্রাক ৷ তিনি আরও জানান, কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকা কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা বৈদেশিক বাণিজ্যকেন্দ্রে পৌঁছানোর পর লেটার অফ ক্রেডিট থাকা ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে গম রফতানি করার জন্য বাণিজ্যমন্ত্রকে আবেদন করেন। কার্যত, সেক্ষেত্রে অনুমতি না আসায় চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে দৈনিক গড়ে 500টি ট্রাক পণ্য বাংলাদেশে পাঠানো হয়। অনুমতি না মেলার কারণে বর্তমানে চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তে প্রায় 400 গমবোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। এতে গম নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।