কোচবিহার, 2 জুন : লোকসভা নির্বাচনের ফল খারাপ হওয়ার জের। প্রকাশ্যে কোচবিহার তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। মন্ত্রী ও বিধায়ক একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদগার করলেন। এমন কী জেলা তৃণমূল সভাপতির ডাকা মিটিংয়ে অনুপস্থিত জেলার চার বিধায়ক।
বিধায়কদের অনুপস্থিতির জেরে চাপানউতোর শুরু হয়েছে কোচবিহারে। যদিও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, "অসুস্থতার কারণে এবং বাইরে থাকায় কেউ কেউ আসতে পারেননি। আর যাঁরা নির্বাচন থেকে পালিয়ে যান তাঁদের বক্তব্য প্রসঙ্গে আমি কিছু বলব না ।"
লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী পরেশচন্দ্র অধিকারী BJP প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের কাছে পরাজিত হয়েছেন। নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পরপরই তৃণমূলের কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়েছে। নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে শুরু করেছেন।
আজ কোচবিহার জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির মিটিং ছিল । সেই মিটিংয়ে জেলার সমস্ত বিধায়ক, সাংসদ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, জেলা পরিষদের সদস্য, ব্লক সভাপতিদের হাজির থাকার কথা ছিল । কিন্তু মিটিংয়ে দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ, কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী সহ চার বিধায়ক অনুপস্থিত ছিলেন ।
অনুপস্থিতি নিয়ে কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন, "জেলা সভাপতি কোনও ব্যাপারেই আমার সাথে আলোচনা করেন না । সভাপতি নিজেই সব করেন । তাঁর সবাইকে নিয়ে চলার মানসিকতার অভাব আছে । তাই তাঁর সাথে কোনও আলোচনার দরকার নেই । যদি আলোচনা থাকে তাহলে সেটা তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করব ।"
মিহিরবাবুর এই মন্তব্য প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, যাঁরা নির্বাচন আসলে পালিয়ে যান তাঁদের সম্পর্কে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না । মিহিরবাবুকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সেই দায়িত্ব তিনি পালন করেননি বলে রবিবাবুর অভিযোগ। তার আরও অভিযোগ, অধিকাংশ সময় মোবাইলে সুইচ অফ করে রাখেন । তাই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায় না ।
আগামীকাল তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠক । একাধিক রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে । বদল হতে পারে কোচবিহারের নেতৃত্বেও ।