কোচবিহার, 21 নভেম্বর: জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নুর আলম হোসেনের (Nur Alam Hossain) বহিষ্কার ইস্যুতে দলের জেলা সভাপতিকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের (tmc mla challenge) মুখে ফেলে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া (Jagadish Chandra Barma Basunia) ৷ শনিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, "দলের জেলা সভাপতির এক্তিয়ার নেই কাউকে বহিষ্কার করার। জেলা সভাপতি সুপারিশ করতে পারেন রাজ্যে নেতৃত্বের কাছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য নেতৃত্ব বহিষ্কার করবে।" আর এই ঘটনায় কোচবিহার জেলায় শাসকদলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল।
কোচবিহারে দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে। আর এই কোন্দলের জেরে গত তিন বছরে তিন তিনবার সভাপতির বদল হয়েছে জেলায় ৷ বর্তমানে জেলা সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন গিরীন্দ্রনাথ বর্মন এবং চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ(Udayan Guha) ৷
আরও পড়ুন: তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহকে ফোনে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ
কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পদে দায়িত্ব নেওয়ার পরে গিরীন্দ্রনাথ বর্মন জেলার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে উদ্যোগী হন। একের পর এক গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা আটকালেও দিনহাটা-1 ব্লকে আটকাতে পারেননি। আর এই ঘটনায় ওই এলাকার দাপুটে নেতা কোচবিহার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নুর আলম হোসেনই দায়ী, এই অভিযোগ তুলে তাঁকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন। এই ঘোষণার 2 ঘণ্টা পরে পেটলায় সাংবাদিক বৈঠকে নুর আলমকে পাশে বসিয়ে এলাকার বিধায়ক জগদীশবাবু বলেন, "জেলা সভাপতির এক্তিয়ার নেই কাউকে বহিষ্কার করার। জেলা সভাপতি শুধুমাত্র সুপারিশ করতে পারেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে বহিষ্কার করবে রাজ্য নেতৃত্ব।" গোটা ঘটনাটি তিনি রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে(Subrata Bakshi) জানিয়েছেন বলেও বিধায়ক জানান। এখন দেখার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নুর আলম হোসেনের বিষয়ে রাজ্য নেতৃত্ব কী সিদ্ধান্ত নেয় ৷