কোচবিহার, 1 আগস্ট : বিধায়কদের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে রাত কাটানোর পরামর্শ দিয়েছেন স্বয়ং নেত্রী । কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে কোচবিহার জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিধায়করা দিনের বেলাতেই গ্রামে ঢোকার সাহস পাচ্ছেন না৷ এই পরিস্থিতিতে গ্রামে গিয়ে কীভাবে রাত কাটাবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দলের অন্দরে । একই সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, সন্ত্রাস থাকলেও এই কর্মসূচি নেওয়া হবেই ।
কোচবিহারের ন'টি বিধানসভার মধ্যে আটটিতে তৃণমূল ক্ষমতায় । এতদিন জেলাজুড়ে তৃণমূলের দাপট থাকলেও গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় অশান্তি হচ্ছে । বহু এলাকা BJP-র দখলে চলে গেছে । পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত যে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ থেকে শুরু করে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ-সহ অনেক বিধায়কই নিজ নিজ বিধানসভার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন । এমন কী, BJP-র বিক্ষোভের জেরে গত দু'মাস বাড়িছাড়া ছিলেন শাসকদলের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া । সম্প্রতি পুলিশি প্রহরায় বাড়ি ফিরেছেন তিনি । এখনও তাঁর বাড়ির সামনে পুলিশ প্রহরা রয়েছে । এই পরিস্থিতির মধ্যেই তৃণমূলের তরফে 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় । পাশাপাশি নেত্রী বলেছেন, প্রতিটা গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে সাধারণ কর্মীর বাড়িতে রাত কাটাতে হবে বিধায়কদের । এ ছাড়া সেখানে গিয়ে দলীয় কর্মী, স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে হবে ।