কোচবিহার, 30 অক্টোবর: কাঁটাতার নেই ৷ তবে, রয়েছে বিএসএফ-এর কড়া নজর ৷ এই নজরদারিকে ভরসা করেই বছরের পর বছর ধরে খোলা সীমান্তের (India Bangladesh Border) নদীতে পালিত হয়ে আসছে ছটপজো (Chhath Puja 2022) ৷ সাধারণত, খোলা সীমান্তে অনুপ্রবেশ ও পাচারের রমরমা থাকে ৷ পুলিশ প্রশাসনের আশংকা, ছটপুজোর ভিড় ঢাল করে উৎসবের মুহূর্তে অনুপ্রবেশ ও পাচার আরও বাড়তে পারে ৷ এমনকী, পুজোয় বিঘ্নও ঘটাতে পারে দুষ্কৃতীরা ৷ তাই সতর্ক পুলিশ প্রশাসন ৷ কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ ব্লকের চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্তের ধরলা নদীতে (Dharla River) ছটপুজোর বন্দোবস্ত এবং নিরাপত্তা খতিয়ে দেখলেন এসডিপিও অরিজিৎ পালচৌধুরী ৷
তথ্য বলছে, প্রতিবছর ছটপুজো উপলক্ষে ধরলা নদীর বিভিন্ন ঘাটে কয়েক হাজার মানুষ সমবেত হন ৷ এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে ৷ উৎসবের কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই সীমান্তের এই অংশে বিএসএফ-এর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে ৷ সতর্ক রয়েছে পুলিশও ৷ প্রসঙ্গত,বেশ কয়েক বছর আগে ছটপুজো চলাকালীন এখানকার ঘাটগুলিতে হামলা চালিয়েছিল কিছু বাংলাদেশি দুষ্কৃতী ৷ সেই ঘটনার পর থেকেই ছটপুজোয় বাড়তি নজরদারি ও নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয় ৷
আরও পড়ুন:ছটপুজোর আগে সূর্য মন্দিরে রাজনৈতিক সংঘর্ষ, আহত একাধিক
বিএসএফ-এর জলপাইগুড়ি সেক্টরের ডিআইজি ব্রিগেডিয়ার বিজয় মেহতার নির্দেশে ইতিমধ্যেই ধরলা নদীতে তৈরি ছটপুজোর ঘাট পরিদর্শন করে গিয়েছেন বাহিনীর স্থানীয় আধিকারিকরা ৷ এর পাশাপাশি, শনিবার নদীঘাট ঘুরে দেখেন বিডিও অরুণকুমার সামন্ত, মেখলিগঞ্জ এসডিপিও অরিজিৎ পালচৌধুরী-সহ পুলিশ ও প্রশাসনের অন্য় আধিকারিকরা ৷ স্থানীয় বাসিন্দা ও ছটপুজো আয়োজক কমিটির সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠকও করেন তাঁরা ৷
ধরলা নদীটি ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ৷ আর নদীটি বাংলাদেশে প্রবেশের আগেই রয়েছে ছটঘাট ৷ যার জেরে নিরাপত্তা নিয়ে একটা ঝুঁকি থাকেই ৷ তাই ছটপুজোর সময় ঘাট চত্বর কার্যত নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় ৷ এসডিপিও জানিয়েছেন, এবার ছটপুজোর ঘাটের কাছে কোনও গাড়ি যেতে দেওয়া হবে না ৷ তবে, বয়স্কদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা থাকবে ৷ আয়োজকরাই সেই বন্দোবস্ত করবেন ৷ এছাড়া, নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় নির্দিষ্ট গভীরতা পর্যন্তই পুণ্যার্থীরা জলে নামতে পারবেন ৷ তার পরের অংশে ব্যারিকেড করা থাকবে ৷ পুণ্য়ার্থীদের সতর্ক করতে নিয়মিত মাইকিং করা হবে ৷ যেকোনও বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য সবরকম পরিকাঠামো মজুত রাখা হবে ৷