কোচবিহার, 6 ডিসেম্বর: এবার সোশাল মিডিয়ায় কাকা-ভাইপোর লড়াই (Social Media Duel)! অর্থাৎ, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ (Rabindranath Ghosh) বনাম পার্থপ্রতিম রায় (Partha Pratim Ray) ! মঙ্গলবার সকালে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ একটি পোস্ট করেন ৷ সেখানে তিনি লেখেন, "দলের পুরনো কর্মীরা ভালো নেই ৷" সেই পোস্টের কিছুক্ষণ পরেই পালটা একটি পোস্ট করেন কোচবিহার জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি তথা এনবিএসটিসি চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় ৷ সেখানে তিনি লেখেন, "বিলম্বিত বোধদয় । বিশ্বকাপ ফুটবল। আর ক্রিকেট বিশ্ব ৷" এই পোস্ট আর পালটা পোস্টকে কেন্দ্র করে জোর চাপানউতোর শুরু হয়েছে কোচবিহার তৃণমূলের অন্দরে ৷ যদিও কিছুক্ষণ পরেই পার্থপ্রতিম রায় তাঁর করা পোস্টটি পেজ থেকে মুছে দেন ৷
কোচবিহার জেলা তৃণমূলে (TMC) গোষ্ঠীকোন্দল দীর্ঘদিনের ৷ তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ৷ 1998 সাল থেকে 1019 সালের লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত তিনিই সভাপতির দায়িত্ব ছিলেন ৷ পরবর্তীতে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফল খারাপ হওয়ায় তাঁকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব ৷
আর রবীন্দ্রনাথ ঘোষের হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ করা পার্থপ্রতিম রায়কে কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি করা হয় ৷ পরবর্তীতে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সুপারিশেই পার্থপ্রতিম লোকসভা উপনির্বাচনের টিকিটও পান এবং সাংসদ হন ৷ তবে শিষ্য ক্ষমতার শীর্ষে ওঠার পর থেকেই দু’জনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে যায় ৷ ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে দুই নেতার বিরোধ চরমে ওঠে ৷ এরই মধ্যে মঙ্গলবার সকালে কোচবিহার জেলার তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ সোশাল মিডিয়া পোস্ট করেন, "দলের পুরনো কর্মীরা ভালো নেই ৷"